আসছে গুগল+। অপেক্ষার ইতি।
গুগলের সামাজিক ব্যবসার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ভিক গুনদোট্রা জানান, সৃষ্টি আর উদ্ভাবনা অন্তহীন। তাই আর অপেক্ষা আর পরীক্ষায় না থেকে খুলে দেওয়া হচ্ছে গুগল+ এর উন্মুক্ত সদস্যপদ।
এরই মধ্যে প্রযুক্তি বিশ্লেষক, গবেষক, শিক্ষক এবং সাংবাদিকদের মধ্যে ২৫ লাখ পেশাজীবীকে পরীক্ষামূলক এবং সীমিত আকারে গুগল+ ব্যবহার করতে দেওয়া হয়।
এর বিপরীতে প্রতিক্রিয়া, মতামত আর পরামর্শও এসেছে অনেক। এ নিয়ে কারিগরি মানোন্নয়নও হয়েছে কয়েক ধাপে। তাই নতুন এ সামাজিক সাইট নিয়ে গুগল বেশ আশাবাদী।
বিশ্বব্যাপী গুগল+ এর এ বন্ধু আহ্বানও ছড়িয়েছে দ্রুতই। পরীক্ষামূলক পর্যায়ের প্রথম মাসেই রেকর্ড গড়েছে গুগল+। নতুন এ সামাজিক সাইটের সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে একসঙ্গে একাধিক গুগল বন্ধুর সঙ্গে সরাসরি ভিডিও চ্যাট সুবিধা।
গুগল+ এর অনানুষ্ঠানিক যাত্রার মাত্র দু সপ্তাহের মধ্যে ১ কোটি ভক্তকে তালিকাভুক্ত করেছে গুগল। যদিও সংখ্যা তত্ত্বের এ ঘোষণা গুগল পরে জানিয়েছে। তবে ওয়েবভিত্তিক জরিপ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কমস্কোর সূত্র জানিয়েছে, গুগল+ যাত্রার প্রথম মাস শেষ হবার আগেই ২ কোটি ৫০ লাখ সদস্যকে নিবন্ধিত করেছে।
মাইস্পেসের প্রতিষ্ঠাতা এবং গুগল+ এর সক্রিয় ভক্ত টম অ্যান্ডারসন জানান, ব্যর্থতা বলে গুগলের অভিধানে কিছু নেই। আছে শুধু মানোন্নয়নে নিরলস আর অবিরাম প্রচেষ্টা। গুগল যেন নিজেকেই ছাড়িয়ে যাওয়ার নেশায় মত্ত। আর তা লক্ষ্যহীন হওয়ার সুযোগও নিতান্তই ক্ষীণ।
এ মুহূর্তে গুগল+ এর শক্ত দু প্রতিপক্ষের একজন ফেসবুক। অন্যজন টুইটার। অনলাইনের সামাজিক বিশ্বে ফেসবুকের ৭৫ কোটি এবং টুইটারের ২০ কোটি ভক্ত এখন গুগল+ দিকে এগিয়ে যাবে কি না তা নিয়ে সংশয়ে আছে সামাজিক গবেষক ও বিশ্লেষকেরা।
প্রতিযোগিতার প্রসঙ্গে গুগলের সামাজিক ব্যবসার জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ভিক গুনদোট্রা জানান, এখনও বার্তা বিনিময়ে ইমেইলের কলাকৌশল আছে ভোক্তা জনপ্রিয়তার শীর্ষে। প্রযুক্তিপ্রেমীরা প্রতিনিয়ত পরিবর্তন প্রত্যাশী।
তাই প্রযুক্তিভক্তদের সময়ের চাহিদার সঙ্গে সহজলভ্য প্রযুক্তিসেবা নিশ্চিত করতে পারলে সাফল্য আসবেই। আর গুগল সেবায় বিশ্বাসী। প্রতিযোগিতায় নয়। তাই অন্য সব সেবার মতো গুগল+ ও ব্যাপক জনপ্রিয়তার অপেক্ষায় আছেন।
বাংলাদেশ সময় ১৮১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১১