বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেছেন, লাইসেন্স আবেদনকারীদের মধ্যে বিউটি কনটেস্ট করা হবে, কোনো নিলাম অনুষ্ঠিত হবে না।
১০ কোটি টাকা লাইসেন্স ফিতে একটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ বছরের জন্য এই লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
বিউটি কনটেস্ট প্রক্রিয়ায় একটি কমিটি নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতার ভিত্তিতে একটি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য নির্বাচিত করে থাকে। বিউটি কনটেস্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ্য ও কারিগরি বিষয়গুলো নির্দিষ্ট মানদণ্ডে যাচাই-বাছাই করা হয়।
আবেদন পাওয়ার পর এমএনপি সেবা খুব দ্রুত শুরু করা যাবে বলে জানিয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আশা করছি দেড় মাসের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে।
এমএনপি সেবার জন্য অপারেটর নিয়োগে নিলাম ঝুলে যাওয়ার পর গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর নিলাম প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
এরপর লাইসেন্সের জন্য নীতিমালা পরিবর্তন করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সংশোধিত নীতিমালা সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অনুমোদন পায়। এরপর অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
সোমবার (২৪ জুলাই) টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম ফেসবুকে লিখেছেন, এমএনপি সেবার জন্য সকল অনুমোদন গ্রহণ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। বাকি আছে কেবল আনুষ্ঠানিকতা। মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক পর্যায়ে এই সার্ভিস দেবার জন্য টেকনিক্যাল বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে সর্বোচ্চ ৬-৯ মাস সময় লাগতে পারে। এরই মধ্যে জনগণকে তারা এই সেবা দিতে পারবে বলে আশা রাখি।
অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেওয়ার পর লাইসেন্স দিতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হচ্ছে বলে জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
আগামী ২৩ অগাস্টের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বরাবর এ আবেদন পাঠাতে হবে।
বিটিআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে কোনো বিদেশি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে এ লাইসেন্স নিতে আবেদন করতে পারবে।
তবে বাংলাদেশি অংশীদার ছাড়া বিদেশি প্রতিষ্ঠান লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবে না এবং তাদের অংশ ৫১ শতাংশের বেশি হবে না। তবে প্রবাসীদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না।
আবেদনপত্র জমা দেওয়ার দিন থেকে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক দেশে কমপক্ষে এক কোটি গ্রাহককে এমএনপি সেবা কমপক্ষে তিন বছর দেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
কোনো মোবাইল অপারেটর বা তাদের পরিচালক বা শেয়ারহোল্ডাররা এ লাইসেন্স আবেদন করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৭
এমআইএইচ/বিএস