শুক্রবার (২৫ আগস্ট) ৪৯ বছর বয়সী জি-ইয়ংয়ের বিরুদ্ধে বিচারিক আদালত এ রায় দেন। আদালতের সূত্রের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।
জি-ইয়ং বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট। তার বাবা লি কুন-হি গ্রুপের চেয়ারম্যান হলেও স্যামসাং কার্যত চলছিল জি-ইয়ংয়ের নেতৃত্বে।
এই বিলিওনিয়ারকে দুর্নীতির বেশ কয়েকটি অভিযোগে গত জানুয়ারিতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ১৭ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। সেসময় তার বিরুদ্ধে গঠন করা হয় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ।
অভিযোগে বলা হয়, রাজনৈতিক নেতৃত্বের সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক জুন-হাইয়ের বান্ধবী চোই সুন-সিলের পরিচালিত অলাভজনক ফাউন্ডেশনগুলোতে ৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিলেন জি-ইয়ং।
প্রেসিডেন্ট পার্ক জুন-হাই অভিশংসিত হয়েছিলেন তার এই বান্ধবীর প্রভাব খাটানো ও অবৈধ উপায়ে অর্থ কামানোর অভিযোগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে।
যদিও সুন-সিলকে অর্থ দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে স্যামসাংয়ের কার্যত প্রধান বলে আসছেন, প্রেসিডেন্টসহ কাউকে ব্যক্তিগত স্বার্থে বা প্রতিষ্ঠানের জন্য কিছু করতে বলা হয়নি।
তার আইনজীবীরাও বলছেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবেন এবং আশা করছেন, রায় পুনর্বিবেচিত হবে।
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০১৪ সালে স্যামসাং গ্রুপের চেয়ারম্যান কুন-হি কার্যত অবসরে গেলে পুরো প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় পড়ে যায়। আসলে ছেলের হাতে প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়ে কুন-হি তাকেই প্রধান করার পথ পরিষ্কার করছিলেন। কিন্তু এই অবস্থার মধ্যে জি-ইয়ংয়ের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বিশ্বের প্রযুক্তি জায়ান্টটির জন্য অনেক বড় ধাক্কা বলেই মনে করা হচ্ছে।
রায় ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই স্যামসাংয়ের শেয়ার পড়ে গেছে ১ শতাংশ। শেষ পর্যন্ত এই ধাক্কা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটিকে কোথায় নিয়ে তলিয়ে নেয়, তা-ই দেখার অপেক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৭
এইচএ/