সেপ্টেম্বরের ২০ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে ঢাকায় যাত্রা শুরু করবে ইজিয়ার । দ্রুত গাড়ি পাওয়ার সুবিধা এবং আরও উন্নতমানের সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি ইজিয়ার অ্যাপের।
সম্প্রতি বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানাচ্ছিলেন ইজিয়ার অ্যাপ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান ইনোভেডিয়াস প্রাইভেট লিমিটেড-এর ডিরেক্টর কামরুল হাসান ইমন।
পরিবহন সংকট ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানুষের গাড়ির জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার একটি সমাধান হিসেবে ইজিয়ার অ্যাপ কাজ করবে বলে মনে করছেন ইমন।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আমরা ইজিয়ার, এই একটিমাত্র অ্যাপের ভেতরেই বাইক শেয়ারিং, ট্যাক্সি কার, অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দেবো। বলতে পারেন এটা ক্লাস্টার সার্ভিস হবে। একটি অ্যাপেই মানুষ তার যে বাহনটির প্রয়োজন সেটি খুঁজে পাবে। ’
ইমন মনে করেন, ঢাকায় এখন মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মানুষ দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে বাইক বেছে নিচ্ছে। এজন্য চলতি সপ্তাহ থেকে ইজিয়ার অ্যাপে নিজের বাইক রেজিস্ট্রেশন করলেই ৫০০ টাকা ইনস্ট্যান্ট ক্যাশ উপহার পাবেন। আর আলাদা করে বাইকের কোন রেজিস্ট্রেশন ফি নেই।
উবারের পর গো-টু টেকনোলজি ট্যাক্সি সার্ভিস নামানোর পথে রয়েছে। এর মধ্যে আসছে ইজিয়ার। ইজিয়ারে দূরপাল্লার যাত্রাতেও প্রাইভেট-কার-মাইক্রোবাস বুকিং করার সুবিধা যুক্ত করা হবে।
ইমন জানান, শুরু থেকেই চালক বা বাইকারদের জন্যও থাকছে বিশেষ অফার। অন্য যে কোন অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সি সার্ভিস থেকে তারা চালক ও বাইকারদের থেকে কম পার্সেন্টেজ নেবেন।
ইমন বলেন, ইনোভেডিয়াস মূলত আমাদের আইটি প্রতিষ্ঠান। এখানে চারজনের আমরা তিনজনই আইটি’র নানা উদ্যোগের সাথে আগে থেকেই যুক্ত ছিলাম। এখন আমরা বাইকশেয়ারিং ও ট্যাক্সি কার ‘অন বোর্ড’ করছি। ‘আগামী মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে যাত্রা শুরু করবো । যাত্রা শুরুর অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ও শীর্ষ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টদের রাখতে চাচ্ছি।
আমাদের বিশেষত্ব হবে আমরা গুরুত্বপূর্ণ এরিয়াগুলো শুরুতেই কভার করার চেষ্টা করবো। আর সেবা যারা নেবেন, তারা একই অ্যাপে কার, বাইক, অ্যাম্বুলেন্স এরকম ‘ক্লাস্টার’ সেবা পাবেন।
আর ভাড়ার ক্ষেত্রে এস্টিমেট একটা ফেয়ার শুরুতে আ্যপে দেখাবে তবে গন্তব্যের দূরত্ব অনুযায়ী এটা কম বেশি হতে পারে। সার্ভিস চালুর পর তাদের গাড়ির সংখ্যা বাড়তে থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন ইমন।
আর ট্যাক্সি সেবার ক্ষেত্রে যাত্রীর সঙ্গে চালকদের ব্যবহার ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে উন্নত করা হবে। একই সঙ্গে চালক ঠিকমতো লোকেশন নেভিগেশন ফলো করে প্যাসেঞ্জারের কোন বেগ না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন ।
তিনি বলেন, অ্যাপ খুব সহজ থাকবে। হবে একেবারে ইউজার ফ্রেন্ডলি। অপশনের জটিলতা থাকবে না। বলতে পারেন শতভাগ ইউজার ফ্রেন্ডলি করার চেষ্টা করছি।
তিনি জানান, এক হাজারের উপরে তাদের গাড়ি রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে। তবে বাইকের সংখ্যা এখনও কম। ক্যাশ ৫০০ টাকার অফারটির মাধ্যমে বাইকেও ব্যাপক সাড়া পাবেন বলে মনে করছেন তারা।
তাদের চারজন উদ্যোক্তা রয়েছেন। চেয়ারম্যান আহমেদ বুলবুল, ম্যানেজিং ডিরেক্টর মেহেদী হাসান ইমন, ডিরেক্টর হিসেবে রানা আহাদ এবং তিনি কামরুল হাসান ইমন। এর মধ্যে তিনজনই প্রযুক্তি খাতের নানা উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া এক্সপোর্ট-ওরিয়েন্টেড বিজনেস রয়েছে।
ইমন বলেন, বাইকের রাইড শেয়ারিং এবং অ্যাপে ট্যাক্সি সেবা এখন যারা দিচ্ছেন তারাও কিন্তু ঢাকার সব জায়গা কাভার করতে পারেননি। পুরান ঢাকার মতো জায়গায় গাড়ি পাওয়া যায় না এসব অ্যাপে। আমরাও শুরুর দিকে সব জায়গায় সার্ভিস দিতে পারবো না। তবে গুলশান, বনানী, বারিধারা, উত্তরা ও ধানমন্ডির মত এলাকাগুলোতে প্রথম দিনই গাড়ি পাওয়া যাবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে আমরাই বলে দেবো বাকি এরিয়াগুলোর নাম।
ইমন জানান, একেবারে শুরুর দিকে হয়তো ৫০ বা ১০০ বা তার কিছু বেশি গাড়ি থাকবে। তাদেরকে কিছু সাপোর্ট দিয়ে রাখতে হবে। এর বিকল্প নেই। শুরুর দিনই এক হাজার গাড়ি রাখতে পারবো না। আস্তে আস্তে বাড়বে। বাইকার বা গাড়ি চালকের প্রাপ্ত ভাড়া থেকে সবচেয়ে কম পার্সেন্টেজ কাটবো আমরা। তাই অফারটি আকর্ষণীয় হবে শুরু থেকেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৭
এসএ/আরআই