তারা আরও বলছেন, উবার বাইকারদের চালক হিসেবে খাটাবে। এটা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে লজ্জার বিষয়।
এদের সংখ্যা কয়েকশো। তারা স্যোশাল মিডিয়ার রাইড শেয়ারের একাধিক গ্রুপে সক্রিয় থেকে এসব পোস্ট করে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে উবার কর্তৃপক্ষ অফিসিয়ালি কোনো বক্তব্য এখনও দিচ্ছে না। উবারের ‘পিআর’ মাধ্যমে মেইল করেও উত্তর আসেনি এখনও।
উবার আপাতত ঢাকামটো নিয়ে না বললেও তাদের রেজিস্ট্রেশন বুথ থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এ তথ্য অনুযায়ী, উবারমটো ঢাকার জন্য বেস ফেয়ার ৩০ টাকা, কিলোমিটার প্রতি ১২ টাকা, প্রতি মিনিট ১ টাকা করে নির্ধারণ করেছে।
যা ঢাকায় প্রচলিত অ্যাপ স্যাম-পাঠাওসহ রাইড শেয়ারিং অ্যাপের সঙ্গে ব্যবধান নেই। উবারমটোতে বাইকারদের আকর্ষণ হারাবার এটিও আরেকটি কারণ বলা হচ্ছে।
তবে রাইড শেয়ার অ্যাপসেবা বিশ্লেষকদের মতে, রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলোর ভাড়া একের পর এক বাড়ছে। বাইকার কাড়তে এটি করা হচ্ছে। এতে অ্যাপ প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেরা লাভ করছে আর রাইডার বা যারা এর ব্যবহাকারকারী তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দ্রুত ও কম টাকায় এ সেবাটি পাওয়ার বদলে রাইডারদের উচ্চ দাম দিতে হচ্ছে।
প্রযুক্তিপ্রেমী ও রাইডশেয়ারিং অ্যাপ বিশ্লেষক সোহাগ আহমেদ জানান, পাঠাও শুরুতেই উচ্চহারে ভাড়া নির্ধারণ করে। এরফলে এখন বাধ্য হয়ে অন্যরাও ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছে। বাইকাররা যে অ্যাপ ব্যবহারে টাকা বেশি পান সেটিতে ঝুঁকে পড়ছেন।
অথচ সরকার-নীতিমালায় এখন পর্যন্ত ভাড়ার বিষয়টি ঠিক করতে পারেনি। এই ভাড়া ঘিরে অসন্তোষ চলছে বলেও উল্লেখ করেন রাইড শেয়ার বিশ্লেষক সোহাগ।
এদিকে, রেজিস্ট্রেশনের দ্বিতীয় দিন পার করেছে উবারমটো। রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম যারা চালাচ্ছেন তারা জানিয়েছেন, দু’দিনে উবারমটোতে রেজিস্ট্রেশন ৫শ অতিক্রম করিনি।
দেশে প্রথম ২০১৬ সালের ৮ মে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ চালু করে শেয়ার এ মোটরসাইকেল (স্যাম)। বিআরটিএর নিষেধাজ্ঞার কারণে স্যাম কার্যক্রম শিথিল করলেও ৫ অক্টোবর থেকে নতুন ফেয়ারে আসার ঘোষণা দিয়েছে। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ঢাকায় উবার অ্যাপভিত্তিক ট্যাক্সিসেবা চালু করে। ‘উবার প্রিমিয়ার’ ও পুরনো মডেলের গাড়িগুলোকে ‘উবার এক্স’ নামে আলাদা ভাড়ায় উবার।
উবারের পরাই ঢাকায় মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিংয়ে আসে ‘পাঠাও’। এটি কম সময়ে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। এরপর আসে ‘আমার রাইড’। সপ্তাহখানেক আগে চালু হয়েছে ‘বাহন’ নামে আরেকটি রাইড শেয়ার অ্যাপ। তবে সব জায়গায় তাদের মোটরসাইকেল বা প্রাইভেট কার পাওয়া যাচ্ছে না। এবার আসছে উবারমটো। আরও আসার পথে রয়েছে, ইজিয়ার, লেটসগো, গো-টু সহ কয়েকটি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যথাযথ পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় মোটরসাইকেলে যাতায়াত বাড়ছে। মানুষ এরকম সেবার প্রতি ঝুঁকছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) তথ্য অনুসারে, গত আগস্ট পর্যন্ত ঢাকায় ১১ লাখ ৫০ হাজার ৭০৮টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ি নিবন্ধিত হয়েছে। তার মধ্যে চার লাখ ৮৩ হাজার ৮১৯টি মোটরসাইকেল। ঢাকায় নিবন্ধিত ব্যক্তিগত গাড়ি (প্রাইভেট কার) আছে দুই লাখ ৫৫ হাজার ৬২২টি। দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি আছে মোটরসাইকেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এসএ/এএ