প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং বিভাগের সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্টরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি এক নির্দেশনায় সরকার জানায়, এক জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে যে কোনো অপারেটরের পাঁচটির বেশি সিম নেওয়া যাবে না। পাঁচটির বেশি সিম থাকলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
টেলিযোগাযোগ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, এখন আর পাঁচটি সিমের বাধ্যবাধকতা থাকলো না। একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নেওয়া যাবে যে কোনো অপারেটরের ২০টি সিম।
তবে একজন গ্রাহকের কাছে ২০টির বেশি সিম থাকলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার পরে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের পর সব গ্রাহকের তথ্য বিটিআরসির কাছে রাক্ষিত আছে। এতে অপরাধ প্রবণতা কমে এসেছে বলে দাবি বিভাগের। কেন্দ্রীয় তথ্য ভাণ্ডারের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে কার কাছে কতটি সিম রয়েছে।
টেলিযোগাযোগ খাতের বিভিন্ন বিষয়ের অগ্রগতি বিষয়ক সভায় চলতি বছরের মধ্যে ফোরজি সেবা চালুরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কনভার্সন ফি বিটিআরসির সঙ্গে অপারেটরদের আলোচনার মাধ্যমে কমানোর কথা বলা হয়েছে সভায়। সিএসআর ফান্ড নিজেরা খরচ করে বিটিআরসিকে জানানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা দেওয়া হবে, তবে কোয়ালিটি অব সার্ভিসের বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এছাড়া আইএসপি লাইসেন্স ফি না বাড়িয়ে আগেরই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় টেলিটককে নিজের পায়ে দাঁড়ানো, টাওয়ার শেয়ারিং দ্রুত করা, টেলিযোগাযোগ বিভাগের অটোমেশনের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ