ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শেষ হলো প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
শেষ হলো প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণ কাজ

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরের গভীরে প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের রিপিটার পরিবর্তন শেষে ইন্টারনেট সংযোগ সচল হয়েছে। ফলে দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগে আপাতত আর কোনো বাধা থাকলো না।
 

প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের (এসএমডব্লিউ-৪) একটি রিপিটার পরিবর্তনের জন্য ২৪ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণের নির্ধারিত সময় থাকলেও তা রোববার (২৯ অক্টোবর) রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত বাড়ানো হয়।


 
এ ক’দিন পটুয়াখালীতে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এবং আমদানিনির্ভর ব্যান্ডউইডথের মাধ্যমে সেবা দেওয়া হচ্ছিলো। তবে দেশে ইন্টারনেট সংযোগে ধীরগতিতে অনলাইনভিত্তিক কাজে সমস্যা দেখা দেয়।  
 
প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের কক্সবাজারের কলাতলী ল্যান্ডিং স্টেশন থেকে ১০৫ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে দ্বিতীয় রিপিটারটিতে ফল্ট দেখা দেওয়ায় তা পরিবর্তনের কাজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শেষ হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ল্যান্ডিং স্টেশনের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) সাখাওয়াত হোসেন।
 
তিনি বলেন, ২০০৬ সালে সংযোগ পাওয়া প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের লাইফটাইম ২৫ বছর, ১২ বছরের মাথায় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকলো এই ক্যাবলের সংযোগ।
 
সংযোগ চালু হওয়ায় এখন আর ইন্টারনেটে সমস্যা হবে না বলে জানান সাখাওয়াত।
 
এসএমডব্লিউ-৪ থেকে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করা হয়। ২০০৫ সালে দেশে প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘এসএমডব্লিউ-৪’ এ যুক্ত হয়, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যায়। এছাড়াও বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

গত ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার গোড়া আমখোলাপাড়ার এ ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাবে বাংলাদেশ।

দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১২০ জিবিপিএস এতোদিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিএসসিসিএলের মাধ্যমে আসছিল। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইডথ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।
 
এসএমডব্লিউ-৪ থেকে সরবরাহ বন্ধ হওয়ায় এসএমডব্লিউ-৫ থেকে ২০০ ক্যাপাসিটির মধ্যে ১৫০ জিবিপিএস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের প্রকল্প পরিচালক পারভেজ এম আশরাফ।
 
এছাড়া আপদকালীন হিসেবে ৪০ জিবিপিএস ফ্রান্স থেকে আমদানি করে সেবা দেয় বিএসসিসিএল।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।