ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এক নম্বরে অন্য অপারেটরের সেবা মার্চে!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০১৭
এক নম্বরে অন্য অপারেটরের সেবা মার্চে! চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদল বা মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) সেবা আগামী বছরের মার্চের শেষে বা এপ্রিলের প্রথমার্ধে পাওয়া যাবে বলে আশা করছে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ান বিডি-টেলিটেক।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে নোটিফিকেশন চিঠি নেওয়ার পর লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামরুর হোসেন এ কথা জানান।
 
মঙ্গলবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে বিটিআরসি ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্থার চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ান বিডি-টেলিটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামরুর হোসেন এবং বিদেশি শেয়ার হোল্ডার টেলিটেক ডিওও স্লোভেনিয়ার প্রতিনিধি টমির হাতে লাইসেন্সের নোটিশ তুলে দেন।


 
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলেন, এমএনপি লাইসেন্স দিতে ইনফোজিলিয়ান বিডি-টেলিটেককে নির্বাচিত করার পর গত ১৫ অক্টোবর সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেছে। গত ০১ নভেম্বর ইনফোজিলিয়ান বিডি-টেলিটেককে লাইসেন্স পেতে ৩০ দিন সময় দিয়ে নোটিফিকেশন ইস্যু করা হয়েছে।  
 
ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, লাইসেন্স পাওয়ার পরবর্তী ছয়মাসের মধ্যে দেশের মোবাইল গ্রাহকদের কমপক্ষে ১ শতাংশ, এক বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ রোল আউট বাস্তবায়ন করতে হবে। এ রোল আউট করতে ব্যর্থ হলে ছয়মাসের মধ্যে ব্যাংক গ্যারান্টির ২৫ শতাংশ এবং এক বছরের মধ্যে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হলে আরো ২৫ শতাংশ বিটিআরসি’র অনুকূলে নগদায়ন করা হবে।

এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যর্থ হলে অবশিষ্ট ব্যাংক গ্যারান্টি নগদায়নসহ লাইসেন্স বাতিল করা হবে। সেক্ষেত্রে পরবর্তী প্রতিযোগীকে লাইসেন্স দেওয়া হবে।
 
বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলেন, ২০১৩ সালের জুন মাসে এ প্রকল্প অনুমোদন পাওয়ার চার বছর পর তার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। এটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য। গত ২৩ আগস্ট দরপত্র আহ্বানের পর ছয়টি প্রতিষ্ঠান মিলে পাঁচটি দরপত্র দাখিল করে। ইনফোজিলিয়ান বিডি-টেলিটেক নির্বাচিত হয়।  
 
রেগুলেটরির নির্দেশনা অনুসারে যতো দ্রুত সম্ভব এমএনপি চালু করা হবে জানিয়ে লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানের বিদেশি শেয়ার হোল্ডার টমি বলেন, এজন্য অপারেটরদের সিস্টেম তৈরি করতে হবে।
 
আর মামরুর হোসেন বলেন, ‘লাইসেন্স পাওয়ার ১৮০ দিনের আগে রোল আউট করতে কানেকটিভিটি দেবে অপারেটররা। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে আমাদের হার্ডওয়ার চলে আসবে এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইনস্টলেশন শেষ করবো। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষে অপারেটরদের সঙ্গে কানেকটিভিটির প্রক্রিয়া শুরু করবো। এটি শেষ করতে একমাস সময় লাগতে পারে। আমরা দ্রুত কানেকটিভিটি পেতে বিটিআরসি’র মাধ্যমে অনুরোধ জানাবো’।
 
তিনি বলেন, ‘কানেকটিভিটি হয়ে গেলে কিছুদিনের মধ্যে অপারেশন শুরু করা যাবে। এক সপ্তাহে হতে পারে, আবার টাইমও লাগতে পারে’।

নির্দিষ্ট সময় না জানালেও তিনি বলেন, ‘মার্চ মাসের মধ্যে হয়ে যেতে পারে, এপ্রিল মাসেও হতে পারে। তবে দ্রুত সম্ভব সেবা দিতে পারবো’।

এমএনপি চালু হলে গ্রাহক এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরের সংযোগ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে গ্রাহককে ৩০ টাকার বিনিময়ে প্রতিবার অপারেটর বদলের সুযোগ দেওয়া হবে। তবে অন্য অপারেটরে যেতে হলে ৯০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। চালু হতে সময় লাগবে ৭২ ঘণ্টা। প্রি-পেইড ও পোস্ট পেইড গ্রাহকদের সবাই এ সেবা নিতে পারবেন।
 
এ সেবা প্রবর্তনে মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে গুণগত সেবা দেওয়ার প্রতিযোগিতা এবং মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলেও আশা করেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ।
 
তিনি বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৭২টি দেশে এমএনপি সেবা চালু আছে। ভারতে ২০১১ সালে ও পাকিস্তানে ২০০৭ সালে এমএনপি সেবা চালু হয়।
 
এমএনপি’র জন্য আবেদন ফি এক লাখ টাকা, সিকিউরিটি মানি এক কোটি টাকা, লাইসেন্স এক্যুজেশন ফি ১০ কোটি টাকা, বার্ষিক লাইসেন্স ফি ২৫ লাখ টাকা, রেভিনিউ শেয়ারিং দ্বিতীয় বছর থেকে ১৫ শতাংশ করে এবং ব্যাংক গ্যারান্টি ১০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৭
এমআইএইচ/এএসআর
**
এমএনপির অনুমতি পেলো ইনফোজিলিয়ান বিডি টেলিটেক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।