অ্যাপল এখনও স্টিভের শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তবে স্টিভ যেন অদৃশ্য হয়েও অ্যাপলকে নতুন প্রেরণায় উদ্দীপ্ত করে তুলছে।
অনলাইনে প্রিঅর্ডার শুরু হওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে ১০ লাখ আইফোন। অ্যাপল সূত্র জানিয়েছে, এত অল্প সময়ে, এত দ্রুত এবং এত পরিমাণ বিক্রির রেকর্ড আগের কোনো অ্যাপল পণ্যই অজর্ন করতে পারেনি।
অ্যাপল পণ্যের অনলাইন প্রিঅর্ডার চালু হওয়ার মাত্র ২৪ ঘণ্টাতেই ১০ লাখ আইফোন ৪এস বিক্রি হয়ে গেছে। যদিও ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হবে এসব বিক্রি হওয়া আইফোনের বাণিজ্যিক বিপণন।
অ্যাপলের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফিলিপ জানান, প্রথম দিনেই উন্মুক্ত প্রিঅর্ডারে আইফোন ‘৪এস’ যে পরিমাণ বিক্রির রেকর্ড সৃষ্টি করেছে অ্যাপলের ইতিহাসে বিরল অর্জন। এখনও যুক্তরাষ্ট্রের মোড়ক উন্মোচনের অপেক্ষায় আছে আইফোন ৪এস। ১৪ অক্টোবর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপল স্টোরগুলোতে ৪এস মডেলটি পাওয়া যাবে।
এ ছাড়াও এ অক্টোবর মাসের শেষভাগে প্রথমে নির্বাচিত ৭টি দেশসহ আরও ২২টি দেশে আইফোন ৪এস নগদেই পাওয়া যাবে। এদের মধ্যে ইউরোপভুক্ত দেশগুলোর সংখ্যাই সবচে বেশি।
নতুন এ আইফোনে ভিডিও সেবায় যুক্ত হয়েছে তাক লাগানো ভয়েস কমান্ড সিস্টেম। এর ফলে কণ্ঠ শুনেই স্মার্টফোন অপারেশন করা সম্ভব হবে। এ বিশেষ ফিচারের নাম ‘সিরি’। এ ফিচারটি এ সময়ে সব বয়সীদের জন্যই দারুণ উপভোগ্য হবে।
ডিজিটাল পণ্য বিশ্লেষকদের ভাষায়, আইফোন ৪এস মডেলে তেমন কোনো নতুনত্ব আসেনি। তবে অবয়বে এসেছে লক্ষ্যণীয় কিছু পরিবর্তন। ৩টি মডেলের অনুপাতে স্টোরেজ সামর্থ্য বাড়ানো হয়েছে। অনেকটা আইফোন৪ এর মতোই এসেছে নতুন ৪এস -এমন কথাই জানিয়েছিলেন সমালোচকেরা।
তবে বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, স্টিভের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতেই এ পণ্যটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী এত বেশি আগ্রহ। আইফোন ‘৪এস’ মডেলই হচ্ছে স্টিভের জীবিত থাকা অবস্থায় মুক্তি পাওয়া সবশেষ অ্যাপল পণ্য। ৫৬ বছর বয়সে জটিল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে স্টিভ গত ৫ অক্টোবর মারা যান।
এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ন্যূনতম ১৯৯ ডলারে ১৬জিবি এবং সর্বোচ্চ ৩৯৯ ডলারে ৬৪জিবি মডেলের আইফোন ৪এস পাওয়া যাচ্ছে। একে স্টিভের শেষ সময়ের পণ্য বলে সম্মান জানাতে ভক্তরা মোটেও কারপণ্য করছেন না। দ্রুততম পণ্য বিক্রির এ রেকর্ড সে কথাই তো জানান দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময় ০৪০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১১