বিশ্বে এ মুহূর্তে যে নেটওয়ার্ক বিদ্যমান রয়েছে তা আরো সম্প্রসারিত করে বহুগুন দ্রুত গতিসম্পন্ন ইন্টারনেটের গতি প্রদানে সক্ষম পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল ব্রডব্যান্ড ৪জি’র প্রযুক্তি চালু হয়েছে যুক্তরাজ্যে। প্রাথমিকভাবে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষা নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্যের ২০০ অধিবাসীর অংশগ্রহনের মাধ্যমে এর কার্যক্রম যৌথভাবে পরিচালনা করবে এভরিথিং-এভরিহোয়ার এবং বিটি নামের দুইটি প্রতিষ্ঠান।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই নেটওয়ার্ক লং টার্ম ইভালুয়েশন (এলটিই) স্ট্যান্ডার্ড এর উপর ভিত্তি করে পরিচালিত। যেটি বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তি অঙ্গনের মানুষ ৪ জি নামে অবগত। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে বিশেষ ধরনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। যেগুলো তারা বাসা এবং চলার পথে ব্যবহার করবে। পরীক্ষাগারে গবেষণা করে দেখা গেছে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেট ডাউনস্ট্রিম গতি পাওয়া যায় প্রায় ১৫০এমবিপিএস। কিন্তু সর্বত্রের ব্যবহারকারীদের মধ্যে যখন নিয়মিতভাবে উন্মুক্ত করা হবে সেক্ষেত্রে এর গতি পাওয়া যাবে প্রায় ১০এমবিপিএস। যেটা প্রমাণ করে বর্তমানের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ৩জি’র গতি থেকে যথেষ্ট। কারণ বর্তমানে যুক্তরাজ্যের ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান অফকম তার গ্রাহকদের যে গতি দিচ্ছে তা গড়ে ১.৫এমবিপিএস।
এছাড়া প্রতিষ্টান দুটির এই উদ্যোগ সরকারের ব্রডব্র্যান্ড কৌশলের অংশ হিসেবে প্রমাণ করে যে ৪জি’র মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে ব্রডব্র্যান্ডের ভালো গতি দেওয়া সম্ভব। যদিও যুক্তরাজ্য অন্যান্য দেশের তুলনায় এ সেবা উন্মুক্তে কিছুটা পিছিয়ে আছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ৪জি সেবা বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছে। এছাড়াও তারা ঘোষণা দিয়েছে আগামী দুই বছরের মধ্যে এর পরিধিকে আরো সম্প্রসারিত করবে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে ৪জি’র নেটওয়ার্ক ৮০০ মেগা হার্জ স্পেকস্টামে পরিচালিত হবে।