দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশ উন্মোচন করল দেশি ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ‘দোয়েল’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোয়েলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
এ মুহূর্তে বাংলাদেশ টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) ৪টি মডেলের দোয়েল ল্যাপটপ প্রস্তুত করেছে। এর মধ্যে ন্যূনতম মডেলের প্রাইমারি নোটবুকের দাম ১০ হাজার টাকা (১৩০ডলার/৮৩ পাউন্ড) নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি ব্যাপক জনপ্রিয় অ্যানড্রইড অপারেটিং সিস্টেমে চলবে। আর মূল পর্দা ১০.১ ইঞ্চি।
অন্য দুটি নোটবুক সিরিজে আছে ১৩ হাজার টাকার বেসিক এবং ২০ হাজার টাকার স্ট্যান্ডার্ড মডেল। আর পূর্ণাঙ্গ ল্যাপটপ আছে একটি। এর দাম ২৬ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
দোয়েলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের প্রতিটি অংশকেই ই-গর্ভন্যান্সের আওতাভুক্ত করার মহাপরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়াও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি আধুনিকায়নে অচিরেই পুরো দেশের ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
দোয়েল প্রসঙ্গে টেশিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ ইসমাইল বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরিতে এটি একটি বড় ধরনের উদ্যোগ। গ্রামাঞ্চলে স্বল্পমূল্যে ল্যাপটপ দেওয়া হলে ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্য গ্রামের মানুষের জন্য অনেক সুফল বয়ে আনবে।
শুরুতে সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দপ্তর অফিসে এ ল্যাপটপ সববরাহ করা হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সাধারণ মানুষ এবং ১ কোটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ল্যাপটপ ধাপে ধাপে বিপণন করা হবে।
এ মুহূর্তে দোয়েল যন্ত্রাংশের মাত্র ১০ ভাগ বাংলাদেশে তৈরি হচ্ছে। আর বাকি ৯০ ভাগ যন্ত্রাংশ আমদানি করে আনা হচ্ছে। দোয়েল তৈরিতে মালয়েশিয়ার এম টু করপোরেশন এবং টিএফটি ডিসপ্লে কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু আগামী ছয় মাসের মধ্যেই দোয়েল উৎপাদনে ৬০ ভাগ যন্ত্রাংশ বাংলাদেশেই প্রস্তুত হবে বলে টেশিস ব্যবস্থাপনা পরিচালক অনলাইন সংবাদমাধ্যমে জানান।
বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে। যদিও বাংলাদেশ এখনও ইন্টারনেট গতির প্রশ্নে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। এ ছাড়াও দোয়েলের দ্রুত প্রাপ্তী নিয়েও আসে নানা ধরনের কৌতূহল।
বাংলাদেশ সময় ০৩৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১১