লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হতে থাকা ফেসবুককে মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে কর্তৃপক্ষ। ব্যবহারকারীর নিউজফিডে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম বা তারকা ব্যক্তিত্বের স্পন্সরড পোস্টের বদলে এখন থেকে তার নিকটজনের তৎপরতাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বড় ধরনের এ পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে বলে জানিয়েছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জুকারবার্গ। তিনি শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) একটি পোস্টের মাধ্যমে জানান, সপ্তাহ্খানেকের মধ্যেই ব্যবহারকারীরা তাদের নিউজফিডে বড় পরিবর্তন দেখতে পাবেন।
জুকারবার্গ তার পোস্টে বলেন, ‘বিভিন্ন মানুষকে কাছে আনাই ফেসবুকের মূল উদ্দেশ্য। সাধারণ ব্যবহারকারীদের শেয়ার করা পোস্টগুলোই বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। কিন্তু ব্যবহারকারীরা বহুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিলেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ব্র্যান্ড ও সংবাদমাধ্যমের পোস্টের ভিড়ে মানুষের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো উপেক্ষিত হচ্ছে। আর এ অভিযোগটি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়েছে দুই’শ কোটি ব্যবহারকারীর সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক। ’
এ পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার করা পোস্টগুলো জনপ্রিয়তা হারাতে চলেছে। আর এতে ব্যক্তি-ব্যবহারকারীর পোস্ট করা বিষয়বস্তু বেশি উপস্থাপন হবে নিউজফিডে। ফলে তা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মেলবন্ধন বাড়াবে।
৩৩ বছর বয়সী ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতার দাবি, ‘এর মাধ্যমে এতদিন ধরে চলে আসা বহু বিবাদের নিরসন হবে। ’
ফেসবুকের এ পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিষয়ক কুশলী লরা হ্যাজার্ড ওয়েন বলেন, সংবাদ প্রকাশকরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে চলেছেন। কারণ, এখন প্রকাশকদের পোস্টগুলো নিউজফিডে আগের চেয়ে কম দেখাবে।
২০১৮ সালে বেশ কিছু বড় ধরনের পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। আগের বছর বিভিন্ন হয়রানিমূলক বিষয়বস্তু রোধে কাজ করার ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডকে প্রভাবিত করার অভিযোগ রয়েছে। রাশিয়াসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মহল ফেসবুকের মাধ্যমে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে বিশ্লেষকরা। এসব ভুয়া সংবাদ রুখতেও অঙ্গীকার করেছে ফেসবুক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
এনএইচটি/এইচএ/