ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ডিজিটাল নিরাপত্তায় সেমিনার

সাব্বিন হাসান, আইসিটি এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১১
ডিজিটাল নিরাপত্তায় সেমিনার

ব্যাংকার্স সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এবং ক্যাসপারস্কি ল্যাব যৌথউদ্যোগে নিরাপদ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের উদ্দেশ্য প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে ‘আইসিটি নিরাপত্তা’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করে। সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।



বাংলাদেশের প্রাতিষ্ঠানিক খাতের আইসিটি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী আইসিটি নিরাপত্তার বিষয়টি স্পর্শকাতর হিসেবে বিবেচিত। ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এ বিষয়ে সচেতনতা এখন সময়ের দাবি।

বিজ্ঞান এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান এ সেমিনারে প্রধান অতিথি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব ও অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন জাতীয় প্রকল্পের পরিচালক নজরুল ইসলাম খান এবং এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাসপারস্কি ল্যাবের করপোরেট বিপণন পরিচালক মিস সুক লিং গান এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন।

এ ছাড়াও ব্যাংকার্স সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি তপন কান্তি সরকার, দক্ষিণ এশিয়া ক্যাসপারস্কি ল্যাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলতাফ হালদে এবং বাংলাদেশ ও ভূটানে ক্যাসপারস্কি ল্যাবের বিপণনকারী অফিসএক্সট্র্যাক্টসের সিইও প্রবীর সরকার এ বিশেষ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের ব্যাংক এবং বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে আইসিটি নিরাপত্তার ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিস সুক লিং গান। সংশ্লিষ্ট আরও দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তপন কান্তি সরকার এবং প্রবীর সরকার।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, সরকার আইসিটি নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্ক। এরই মধ্যে সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে। ব্যক্তি থেকে প্রাতিষ্ঠান সব পর্যায়ে আইসিটির নিরাপত্তা নিশ্চিত না করলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। ফলে দুষ্টচক্রের কার্যক্রম আরও বাড়বে। তাই আইসিটির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণের অন্যতম পূর্বশর্ত অপূর্ণই রয়ে যাবে।

গর্ভনর ড. আতিউর রহমান বলেন, প্রাতিষ্ঠনিক পর্যায়ে ব্যাংকিং খাতে আইসিটির নিরাপত্তা সর্বোচ্চ গুরুত্বে দাবি রাখে। ফলে এ ধরনের সেমিনার বাংলাদশের ব্যাংক খাতের জন্য গুরুত্ববহ। কারণ এর সব কর্মকান্ড অর্থকেন্দ্রিক। তাই এ খাতের আইসিটির নিরাপত্তা অত্যন্ত স্পর্শকারত। এ সময়ে দেশের সব ব্যাংকই এখন ইন্টারনেট বা অনলাইনে সেবা ও তথ্য দিতে থাকে। এমনকি অনলাইন লেনদেনও শুরু হয়েছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, উন্নয়নের জন্য সরকার আইসিটিনির্ভর হয়ে পড়ছে। এটি দেশের জন্য ইতিবাচক। তাই আইসিটি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সবাইকে সচেতন হয়ে কাজ করতে হবে। এ উদ্দেশ্য এ ধরনের সেমিনার মতবিনিময়ের উন্মুক্ত সুযোগ তৈরি করে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব মাহফুজুর রহমান ছাড়াও এ সেমিনারে উপস্থিত বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ পর্যায়ের অংশগ্রহণকারী উত্থাপিত বিষয়বস্তুর ওপর দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা হয়।

ব্যাংকার্স সিটিও ফোরাম হচ্ছে এ দেশের সব ব্যাংকের প্রধান প্রযুক্তি অফিসারদের স্বতন্ত্র, অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক একটি সংগঠন। এ সংগঠন দেশের অর্থনৈতিক খাতের জন্য অবাধ একটি তথ্যপ্রযুক্তি পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। অন্যদিকে ক্যাসপারস্কি ল্যাব তথ্যপ্রযুক্তির নিরাপত্তা বিধানে সফটওয়্যার উৎপাদন এবং এ বিষয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময় ১৭৫৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।