২১০০ মেগাহার্টজ এবং ১৮০০ মেগাহার্টজের জন্য তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক নিলামে অংশ নিয়েছে।
তরঙ্গ কেনার পর মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো সেবার মান বাড়াতে পারবে বলে মনে করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসি চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ এবং গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা নিলামে উপস্থিত রয়েছেন।
নিলামের জন্য দুই অপারেটরের জন্য দু’টি টেবিল এবং বিটিআরসির জন্য সামনের দিকে আরেকটি টেবিলে কর্মকর্তারা বসেছেন।
গত ১৪ জানুয়ারি বিটিআরসি চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন, নিলামের জন্য ভিত্তিমূল্য হিসেবে ২১০০ মেগাহার্টজে প্রতি মেগাহার্টজের জন্য ধরা হয়েছে ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ১৮০০ ও ৯০০ মেগাহার্টজের জন্য ধরা হয়েছে ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বিটিআরসি জানায়, বর্তমানে টুজি সেবা ৯০০ মেগাহার্টজ ও ১৮০০ মেগাহার্টজে দেওয়া হয়। আর থ্রিজি সেবা ২১০০ মেগাহার্টজে দেওয়া হয়। ২১০০ মেগাহার্টজে যে থ্রিজি সেবা দেওয়া হয় সেখানে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা দেওয়া আছে। অর্থাৎ এই তরঙ্গে ফোর-জি, টুজি সেবাও দিতে পারবে মোবাইল ফোন অপারেটররা।
বিটিআরসি কর্মকর্তারা জানান, গ্রামীণফোন শুধু এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গে এবং বাংলালিংক দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজ ও এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নিলামে অংশ নিচ্ছে। দু’টি ব্র্যান্ডে নিলামে অংশ নিতে বাংলালিংক ৩০০ কোটি টাকা এবং গ্রামীণফোন একটি ব্র্যান্ডে অংশ নিতে ১৫০ কোটি টাকা বিড আর্নেস্ট মানি হিসেবে জমা দিয়েছে।
ফোর-জি সেবার জন্য টেলিটক, সিটিসেল, বাংলালিংক, গ্রামীণফোন ও রবি আবেদন করেছিলো। আর তরঙ্গ নিলামের জন্য বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি ও সিটিসেল আবেদন জমা দেয়। তবে শেষ পর্যন্ত দু’টি অপারেটর নিলামে অংশ নিচ্ছে।
রাষ্ট্রয়াত্ত অপারেটর টেলিটক নিলামে অংশ নেবে না বলে আগেই জানিয়েছিলো বিটিআরসি। এয়ারটেলের সঙ্গে একীভূত হওয়ার কারণে রবি আর কোনো তরঙ্গ নিচ্ছে না। রবি তাদের হাতে থাকা তরঙ্গ প্রযুক্তি নিরপেক্ষতায় রূপান্তর করে ফোর-জি লাইসেন্স পাওয়ার পরই ফোর-জি সেবায় আসতে হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। আর বন্ধ হয়ে যাওয়া সিটিসেল নিলামে অংশ না নেওয়ায় ফের চালু হওয়ার সম্ভাবনা আর থাকছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস