কমিশনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়, ফেসবুক-গুগলসহ বিভিন্ন ইন্টারনেট প্লাটফর্মে সন্ত্রাস, ঘৃণা, হিংস্রতা, শিশু যৌন নিপীড়ন, ভুয়া পণ্য, কপিরাইট জালিয়াতি ইত্যাদি বেআইনি কন্টেন্ট আপলোড করা হলে তা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে। এজন্য ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক কন্টেন্ট আপলোড করার এক ঘণ্টার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে। সাধারণ নিয়মের আওতায় তা এক ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে হবে।
বর্তমান সময়ে আতংক ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো ব্যবহার করছে সন্ত্রাসীরা। তাছাড়া সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলো সদস্য সংগ্রহেও বিভিন্ন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে থাকে।
সন্ত্রাসকে মদদ দেওয়া পোস্টের ব্যাপারেও সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ কঠোর নীতি প্রয়োগ করে। এ ধরনের পোস্ট খুঁজে বের করে সেগুলো সরিয়ে ফেলতে অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ দেয় কোম্পানিগুলো।
বিদ্বেষমূলক কন্টন্ট সরিয়ে ফেলতে ইইউ অনেকদিন ধরেই তৎপরতা চালিয়ে আসছে। এ ধরনের কন্টেন্ট সরিয়ে ফেলতে গত বছর ইন্টারনেট কোম্পানিগুলোকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল ইইউ। এখন সময়টা এক ঘণ্টায় নামিয়ে আনায়, তা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৮
এনএইচটি/জেডএস