ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্য-প্রযুক্তিতে শিক্ষিতরাই আগামীতে নেতৃত্ব দেবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
তথ্য-প্রযুক্তিতে শিক্ষিতরাই আগামীতে নেতৃত্ব দেবে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

কক্সবাজার: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে তথ্য-প্রযুক্তির দাপট চলছে। তথ্য-প্রযুক্তি ছাড়া কোনো কিছুই করা যাচ্ছে না। তাই বিশ্বজুড়ে শিক্ষাখাতের অবয়বেও পরিবর্তন এসেছে। এখন সবখানে তথ্য-প্রযুক্তি বহুল প্রসার হয়েছে।

বাংলাদেশকেও এই কাতারে শামিল করতে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে এটা স্পষ্ট যে, যারা তথ্য-প্রযুক্তিতে শিক্ষিত হবে তারাই আগামীর বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবে।

শনিবার (৩১ মার্চ) কক্সবাজার সিটি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ইউরোপ-আমেরিকার উন্নত দেশগুলো প্রচুর তারুণ্য শূন্যতায় ভুগছে। তারুণ্যের অভাবে তাদের অনেক শূন্যতা পূরণ করতে পারছে না। কারণ তরুণেরা যা পারে অন্যদের দিয়ে তা কখনোই সম্ভব না। সেই প্রেক্ষাপটে আমরা বড়ই ভাগ্যবান। কারণ বাংলাদেশে তরুণের সংখ্যাই বেশি। এখন দরকার এইসব তরুণদের যোগ্য করে গড়ে তুলে কাজে লাগানো।

তিনি বলেন, এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্য-প্রযুক্তি খাতকে ব্যবহার করে তা সম্ভব। এই জন্য দেশের শিক্ষাখাতকে প্রযুক্তি নির্ভর করে তরুণদের প্রযুক্তি জ্ঞানে শিক্ষিত করা হবে। এর মাধ্যমে ২০২১ সালে আমরা তথ্য-প্রযুক্তি, জ্ঞানভিত্তিক ও তারুণ্য নির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশের ৫০ বছর জন্ম উৎসব করবো।

দেশের সর্বকনিষ্ঠ এই সংসদ সদস্য পলক বলেন, মাদক ও জঙ্গিবাদ হচ্ছে একজন তরুণের সবচেয়ে বড় শত্রু। এই দু’টিকে প্রধান শত্রু মনে করতে হবে। কারণ মাদক ও জঙ্গিবাদ অজুত সম্ভাবনা নিয়ে তিলে তিলে গড়ে উঠা একজন তরুণকে নিমেষেই ধ্বংস করে দিতে পারে। তাই মাদক ও জঙ্গিবাদ থেকে সব তরুণকে দূরে থাকতে হবে।

অধ্যক্ষ কথিং অংয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রজতজয়ন্তীর এই উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ ডিন কক্সবাজারের কৃতিসন্তান ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট একে আহামদ হোসেন, কলেজের পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন, অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন, ফরিদুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার বদিউল আলম।

স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, কলেজের অগ্রযাত্রায় সীমাহীন সীমাবদ্ধতা এবং চরম প্রতিবন্ধকতার মুখেও আমাদের দৃঢ় মনোবলের অধিকারী পরিচালনা পর্ষদ ও শিক্ষক কর্মচারীদের অদম্য আকাঙ্খাই কলেজের অগ্রযাত্রাকে সবসময়ই সচল রেখেছে।

তিনি বলেন, রজত জয়ন্তী হবে কক্সবাজার সিটি কলেজের টার্নিং পয়েন্ট। এরপরে আমরা এগিয়ে যাবো নতুন উদ্যমে। তিনি সিটি কলেজকে দেশের অন্যতম মডেল কলেজে রুপান্তরের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

সকাল সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার শহীদ দৌলত ময়দান থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালির মধ্যে কক্সবাজার সিটি কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবের সূচনা হয়। পরে কলেজ ক্যাম্পাসে এক দীর্ঘ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। মধ্যাহ্নভোজের স্মৃতিচারণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। রজতজয়ন্তী অংশ নিয়ে বর্তমান ও প্রাক্তনহ অন্তত পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রী। তাদের পদভাবে কলেজ ক্যাম্পাস জুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৮
টিটি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।