বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ গত ১২ মে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মহাকাশে সফলভাবে উৎক্ষেপিত হওয়া উপলক্ষে মঙ্গলবার (১৫ মে) রাজধানীর হাতিরঝিলে আতশবাজির অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মন্ত্রী একথা জানান।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের অনেকেই একথা বলেছেন- আমরা মহাকাশ বিদ্যা না নিয়ে কেমন করে আমাদের জাতিকে সামনে নিয়ে যেতে পারবো, আমরা কেমন করে স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রণ করবো, পরিচালনা করবো?
‘আজকে আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই, আমরা এই প্রকল্পের অধীনে গাজীপুর ও বেতবুনিয়ায় আমাদের যে ছেলে-মেয়েদের দিয়েছি তাদের বয়স ৩০ বছরের নিচে।
মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর উপস্থিত জনতা হাততালি দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
স্যাটেলাইট পরিচালনাকারীসহ দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের এই সোনার টুকরা ছেলে-মেয়েদের প্রতি আমার অফুরন্ত ভালোবাসা, পুরো দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা, আমাদের আজকের এইদিন স্মরণীয় হয়ে থাকুক। আজকে সারা বাংলাদেশের মানুষ উদযাপন করছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সফল উৎক্ষেপণ উপলক্ষে এদিন হাতিরঝিল ছাড়াও রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আতশবাজির আয়োজন করা হয়। সারাদেশেও এমন আয়োজন ছিল।
হাতিরঝিলের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী জানান, স্যাটেলাইট আকাশে যাবার পরে, আমাদের প্রতিমন্ত্রী যেটা বলেছেন, আমরা খবর পেয়েছি এখন এটি ৩৬ হাজার কিলোমিটার উপরে আকাশে পাখা মেলে পাখির মতো বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। আসুন তাকে স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই, বাংলাদেশ স্যাটেলাইটের সদস্য হিসেবে আমাদের আগামী দিনকে সমৃদ্ধ করবে, সেই প্রত্যাশা করি।
‘১৯৯৭ সালে সফটওয়্যার রফতানির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দেওয়া হয়েছিল, সেই কমিটির সদস্য হিসেবে আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম, বাংলাদেশ একটি স্যাটেলাইটের মালিক হতে পারে না?’
তিনি বলেন, আমরা বিস্মিত হয়ে লক্ষ্য করেছি সেই স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। পরিকল্পনা কমিশনে যায়, জাপান সরকার সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালে বিএনপি সরকার প্রকল্পটি বাতিল করে দেয়।
‘আমাদের ২৩ বছর আগে স্বাধীন হওয়া ভারত ও পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে পিছিয়ে আছে। এই অর্জন শেখ হাসিনার, এই অর্জন জনগণের। ’
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৬ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৮
এমআইএইচ/এমএইচ/এমএ