রোববার (৮ জুলাই) বিকেলে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ চুক্তি সই হয়। নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে চুক্তিতে সই করেন নৌ-মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুস সামাদ এবং বিসিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে শাজাহান খান বলেন, এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বলা হয়েছিল এটা দেশের কোনো কাজে আসবে না। আবার বলা হয়েছিল, এটার মাধ্যমে টাকা পাচার করা হয়েছে, টাকা নষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু আজ এই চুক্তির মাধ্যমে বিনিয়োগের টাকা ফেরত আসার পথ চালু হলো। আমার জানা মতে আট বছরে এই স্যাটেলাইটের বিনিয়োগের টাকা উঠে আসবে।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরই গুজব রটানো হয়েছিলো, রাষ্ট্রের টাকায় উৎক্ষেপণ করা এই স্যাটেলাইটের মালিকানা দু’জন বিশেষ ব্যক্তিকে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ এই চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে- দেশের মানুষের রক্ত পানি করে দেওয়া করের টাকায় উৎক্ষেপিত স্যাটেলাইটের মালিক এদেশের জননগণই আছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামসুন্দর সিকদার অনুষ্ঠানে জানান, দেশের ৯০ হাজার নৌযান ও প্রতিবছর বাংলাদেশে আসা চার হাজার জাহাজ এই সেবার আওতায় আসবে। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ নদী ও সমুদ্রপথে চলমান জাহাজে উচ্চগতির টেলিযোগাযোগ সেবা না থাকায় সেখানে টেলিফোন, ইন্টারনেট, টেলিভিশন ও টেলিযোগাযোগের অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। এই চুক্তির মাধ্যমে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার অধীনস্থ বন্দর, ফেরিঘাট, জাহাজ ও অন্যান্য স্থাপনায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ থেকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া হবে। এর ফলে জাহাজগুলো স্থলভাগের সঙ্গে সার্বক্ষণিক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ ও টেলিভিশন প্রদর্শন করতে পারবে।
বিসিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সেবা দেওয়া শুরু হবে। এর মাধ্যমে আয় করতে শুরু করবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এর ব্যবহার ব্যয় বিদেশি সাটেলাইটের চেয়ে সাশ্রয়ী হবে। নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের একটি ব্যবহার করবে। তবে তারা এটা ভাড়া দিতে পারবে না।
** বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে চুল পরিমাণ ত্রুটি পাওয়া যায়নি
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৮
আরএম/এইচএ/