ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

অবাণিজ্যিক এলাকায় আইটি ব্যবসা চালানোর অনুমতি চায় বেসিস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
অবাণিজ্যিক এলাকায় আইটি ব্যবসা চালানোর অনুমতি চায় বেসিস কারওয়ান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: প্রয়োজনীয় সংখ্যক সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক তৈরি না হওয়া পর্যন্ত অবাণিজ্যিক এলাকায় ব্যবসা পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।

বুধবার (২৯ আগস্ট) কারওয়ান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় বেসিস। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান এবং বেসিস সচিব হাশিম আহম্মদ।


 
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, গুলশান, বনানী, বারিধারা, ধানমন্ডি, মিরপুর ও উত্তরা থেকে অবৈধ প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদ ও আবাসিক এলাকা থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাণিজ্যিক এলাকাতে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।  
 
তিনি বলেন, সম্প্রতি রাজউকের একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তা উত্তরায় বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠান সলিউশন নাইন লিমিটেডের অফিস তালাবন্ধ করে দিয়েছেন। দীর্ঘদিন থেকে ওই স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এসব প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ করায় ব্যবসা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এর ফলে ব্যাহত হচ্ছে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রমও। ইতোপূর্বে একই কারণ দেখিয়ে উত্তরা এলাকায় অপর একটি প্রতিষ্ঠানে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়।
 
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, আমেরিকা, ইউরোপ ও জাপানের মতো বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশে টাইম জোনের পার্থক্য রয়েছে। তাদের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে কাজ করার জন্য অনেক অফিস ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখতে হয়। তাছাড়া এ সকল প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত জনবল মোটামুটি নিরবেই কাজ করেন এবং এতে বহিরাগত মানুষের আনাগোনা বা কোলাহল হয় না। তাদের কাজের জন্য আবাসিক বা অবাণিজ্যিক এলাকাই ভালো।
 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বর্তমানে বেসিসের ১১০০ সদস্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮০০ এর অধিক প্রতিষ্ঠান ঢাকা শহরের অবাণিজ্যিক এলাকায় ব্যবসা পরিচালনা করছে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক জনবল কর্মরত রয়েছেন। গত অর্থ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী অবাণিজ্যিক এলাকায় অবস্থিত এসব প্রতিষ্ঠান স্থানীয় বাজারে বিনিয়োগ করেছে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ এবং আইটি ও আইটিইএস খাত থেকে রপ্তানি আয় করেছে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে চলেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত তথা বেসিস সদস্যবৃন্দ।
 
বেসিস সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তার মধ্যে ভৌত অবকাঠামো তথা ২৮টি হাইটেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। এসব পার্ক নির্মাণসহ ঢাকাতে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক নির্মাণ করা গেলে সফটওয়্যার ও আইটিইএস প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যবসা পরিচালনার জন্য কোনো অবাণিজ্যিক অফিস স্পেস ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না।  
 
বেসিস সভাপতি বলেন, প্রয়োজনীয় সংখ্যক সফটয়্যার টেকনোলজি পার্ক তৈরি না হওয়া পর্যন্ত অবাণিজ্যিক এলাকায় ব্যবসা পরিচালনার নিষেধাজ্ঞা থেকে বেসিস সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে অব্যাহতি প্রদানের জন্য রাজউক চেয়ারম্যান, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।   

সংবাদ সম্মেলনে অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে জারি করার জন্য অনুরোধ জানান বেসিস সভাপতি।
  
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৮
এমআইএইচ/এএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।