রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেল কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ই-কমার্স প্ল্যাটফরম দারাজের সেলার সামিটে অংশ নিয়ে তিনি এ তাগিদ দেন।
পলক বলেন, এখন মানুষ অনলাইনেই সব পেতে চায়।
‘‘অনলাইন মার্কেট প্লেস ‘দারাজ’ এখন আলিবাবার সঙ্গে যু্ক্ত হয়ে কাজ করায় একটি বড় প্ল্যাটফরম তৈরি হয়েছে। আপনারা গ্রামেও ই-কমার্স ছড়িয়ে দিকে এখনই একটা আবেদন করুন। ’’
প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, ই-কমার্সের জন্য ক্রেতার আস্থা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। মার্কেট প্লেসকে এই ট্রাস্ট অর্জন করতে হবে। দেশে ই-কমার্সে দারাজ এগিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন না করলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠিত হতো না। ইন্টারনেটের ব্র্যান্ডউইথের ৭৮হাজার টাকা থেকে ৪০০ টাকায় কমিয়ে আনার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ই-কমার্স পলিসি প্রণয়নে কাজ করছে সরকার। এটা হলে দেশের অর্থনীতি আরো এগিয়ে যাবে।
জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, দেশে তিন ধরনের নাগরিক বসবাস করেন। একশ্রেণীর নাগরিক স্মার্টফোন যুগের। আরেক শ্রেণীর নাগরিক এটা অ্যাডাপ্ট করেছে। অন্য শ্রেণীর নাগরিকরা এ থেকে দূরে রয়েছেন। তাদের টার্গেট করে এগিয়ে যেতে হবে।
সামিটে দারাজের চার হাজারের বেশি সেলার অংশগ্রহণ করেন। এ সময় দারাজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদুল হক বলেন, গত দুই বছরে দারাজের গ্রোথ হয়েছে গড়ে ৩ থেকে ৪ গুণ। এই গ্রোথের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান সেলারদের। তাই প্রতিবছর সেলার সামিট আয়োজন করা হবে।
অনুষ্ঠানে দারাজের কো-সিইও বিয়ারকে নিকেলসন অনলাইন মার্কেট নিয়ে বিভিন্ন বিষয়েআলোচনা করেন।
দারাজ ২০১২ সালে পাকিস্তানে কার্যক্রম শুরু করে। যা বাংলদেশে শুরু হয় ২০১৪ সালে। বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও মিয়ানমার, নেপাল ও শ্রীলঙ্কাতেও ব্যবসা করছে অনলাইন রিটেইল কোম্পানিটি। সম্প্রতি মাল্টিন্যাশনাল ই-কমার্স কোম্পানী আলিবাবার যুক্ত হয়েছে কোম্পানিটি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, আসছে ১৩ সেপ্টেম্বর দারাজের নতুন অ্যাপ উন্মোক্ত করা হবে। যাতে আরও নসহজে শপিং করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৮
ইইউডি/এমএ