‘জীবনটাকে সহজ করুন’ স্লোগানে অনলাইনে বাসের টিকিট বিক্রি সেবা চালুর মধ্য দিয়ে ২০১৪ সালে যাত্রা শুরু করে সহজ ডটকম। পরবর্তীতে রাইড শেয়ারিং সেবা যুক্ত করে নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু হয় চলতি বছরের ২১ মে।
রাইডার ও সংশ্লিস্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাজধানী ঢাকায় এখন বেশ কয়েকটি মোটরবাইক ও কার রাইড শেয়ারিং কোম্পানি সেবা দিচ্ছে। এদের মধ্যে অনলাইনে বাসের টিকিট বিক্রয় প্রতিষ্ঠান সহজ যুক্ত হলেও গ্রাহকের মধ্যে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। যে কারণে তারা সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাইডারদের কোনো সুবিধাও দিতে পারছে না। উল্টো আটকে রাখছে কমিশনের টাকাও।
সহজ রাইড ইউজার্স বাংলাদেশ নামে একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রোফাইলে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও মতামত প্রকাশ করেন সহজ রাইডাররা। সেখানে তুলে ধরেছেন নিজেদের অসুবিধা ও অভিজ্ঞতার কথা। সেখান থেকে কয়েকটি তুলে ধরা হলো।
রাইডের কমিশন নিয়ে ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া তুলে ধরেছেন সহজ’র রাইডার হারুন অর রশিদ। লিখেছেন, রাইডার ভাইদের দৃষ্টিআকর্ষণ করছি। সহজ নামের কঠিক অ্যাপস ইদানীং প্রমোশনাল অফার দিয়ে বাটপারি শুরু করেছে। প্রতিদিন নতুন নতুন অফারের লোভ দেখিয়ে রাইড দেওয়ার পর টাকা দেওয়া তো দূরের কথা, ফোনও ধরে না।
সাব্বির আহমেদ নামে এক রাইডার লিখেছেন, সব সহজ রাইডার ভাইদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি, সহজ রাইডার কোম্পানি ভাওতাবাজি শুরু করেছে। আমার রাইড শেয়ারিংয়ের টাকা সহজ দিচ্ছে না। ১৫ দিন যাবত ঘুরাচ্ছে, কষ্ট করে রাইড দেওয়ার কি কোনো মূল্য নেই। খুব সাবধান রাইডার ভাইয়েরা।
নাভিল এহসান লিখেছেন, কমিশনের টাকা না দিয়ে তিনবার আমার অ্যাকাউন্ট সন্দেহজনক বলে এসএমএম দিয়েছে সহজ। আমার টাকার দরকার নেই। এই টাকা সহজকে দান খয়রাত করলাম।
ফুয়াদ সৌরভ নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, রাইডারদের ডিসকাউন্টের টাকা কি আসলেই বিকাশ করে পাঠায় সহজ!
সহজ কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে রায়হান মুরাদ লিখেছেন, প্রতিদিনের পেমেন্টের টাকা প্রতিদিন দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে না কেন।
সহজ থেকে রাইডারের কাছে পাঠানো একটি এসএমএসে বলা হয়েছে, কিছু রাইড সন্দেহজনক মনে হওয়ার কারণে আপনার পেমেন্ট আটকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার কোনো অভিযোগ থাকলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
এসব বিষয় নিয়ে কথা বলতে সহজ ডটকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদিরের মোবাইল ফোনে বেশ কয়েকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর: ১৮, ২০১৮
এসই/এএ