মঙ্গলবার (০৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দিবাগত রাত ২টা ৭ মিনিটে দক্ষিণ আমেরিকার কোরো’র ফ্রেঞ্চ মহাকাশ পোর্ট থেকে এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করা হয়।
সংবাদমাধ্যম বলছে, জিএসএটি-১১ স্যাটেলাইটটি দেশের দূরবর্তী স্থানে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে ইন্টারনেট পৌঁছতে পারে না, সেখানে তা সরবরাহ করতে সহযোগিতা করবে।
পাঁচ হাজার ৮৫৪ কেজি ওজনের এ স্যাটেলাইটটি ভারতীয়রা সবচেয়ে ভারী সরঞ্জাম দিয়ে তৈরি করেছেন। যে কারণে সংস্থাটি তার কক্ষপথকে সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারবে।
স্যাটেলাইটটির এ উৎক্ষেপণ আইএসআরও’র দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় হয়েছে। এর আগে এটি উৎক্ষেপণ করার জন্য এ বছরেরই মে মাসে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। যা ব্যর্থ হওয়ার পর এতোদিন সময় নিয়ে আবার উৎক্ষেপণ করা হয়। সেসময় আরিয়ান-০৫ রকেটে করে ১০২তম ফ্লাইটে এটি উৎক্ষেপণ করার কথা ছিল।
আইএসআরও বলছে, জিএসএটি-১১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর রকেটটি খুব ভালোভাবেই যাচ্ছে তার গন্থব্যে। এছাড়া অত্যাধুনিক এই জিএসএটি-১১ দেশের পরবর্তী প্রজন্মকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দেবে। সেইসঙ্গে এটি ভারতজুড়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এসব ছাড়াও স্যাটেলাইটটি নতুন প্রজন্মের জন্য একটি অ্যাপ্লিকেশন প্লাটফর্ম সরবরাহ করবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান ড. কে সিভান।
তিনি বলেন, এই ‘বিগ বার্ড’ উৎক্ষেপণ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৬০০ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। আরিয়ানস্পেস থেকে আরিয়ান-৫ হেভিওয়েট রকেটটি ভাড়া করে এর উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এই ‘বিগ বার্ড’ মহাকাশে ১৫ বছর পর্যন্ত প্রসার করবে বলে আশা করছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৫, ২০১৮
টিএ