ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দক্ষিণ এশিয়ায় আইটি কেন্দ্র বাংলাদেশ

শিহাবুদ্দিন কিসলু, নিউইয়র্ক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১১
দক্ষিণ এশিয়ায় আইটি কেন্দ্র বাংলাদেশ

নিউইয়র্ক: তথ্য প্রযুক্তি খাতে (আইটি) এশিয়ার মধ্যে চীন ও ভারতের পর পরবর্তী কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে দেখছেন বিখ্যাত মার্কিন আইটি বিশেষজ্ঞ এড ফ্রাঙ্কলিন।

গত শুক্রবার নিউইয়র্কে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেন তিনি।



২০১১ সালের ১, ২ ও ৩ ডিসেম্বর ইউএনডিপির এক্সেস টু ইনফরশন (এ২আই) প্রকল্পের আওতায় ঢাকায় আসন্ন ‘ই-এশিয়া ঢাকা কনফারেন্স’ আয়োজন করা হচ্ছে।

‘এ২আই’ প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০০৭ সালে। ২০০৮ ও ২০০৯-এ যথাক্রমে মালয়েশিয়া এবং শ্রীলংকায় ই-এশিয়া কনফারেন্স আয়োজনের পর এবার বাংলাদেশে আয়োজন করা হচ্ছে।

কনফারেন্সের মূল কর্মসূচি হচ্ছে- সক্ষমতা তৈরি, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো, নাগরিক সেবা এবং অর্থনীতি পরিচালনা।

এড ফ্রাঙ্কলিন বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ভারতের চেয়ে সম্ভাবনাময় বলে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশে আইটি খাতে সম্ভাবনার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন তিনি।

ফ্রাঙ্কলিনও কনফারেন্সে অংশ নেবেন। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার ১৫টি ও ইউরোপের ৫টি দেশও এতে অংশ নিচ্ছে।

এড ফ্রাঙ্কলিন ভার্চুস্ট্রিম কোম্পানির জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন। এই কোম্পানিটি এখন মধ্য ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতে সেবা দিচ্ছে। ফ্রাঙ্কলিন মূলত সারা বিশ্বেই একজন তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেন।

ফ্রাঙ্কলিন বলেন, এইসব দেশ তাদের বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছে। এমন সময়ে বিশ্ব দেখছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই হতে যাচ্ছে পরবর্তী আইটি কেন্দ্র।

কনফারেন্সে নিজের অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশের জনগণকে সহযোগিতা এবং উচ্চ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য বাংলাদেশকে এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার বিদ্যমান অবকাঠোমো এবং অঢেল বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ কাজে লাগাতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

আইটিতে আনকোরা ‘ক্লাইড কম্পিইটিং’কে  সম্ভাবনাময় খাত বলে উল্লেখ করেছেন ফ্রাঙ্কলিন। তিনি জানান, বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানিগুলো ২০১৪ সালের মধ্যে এই প্রযুক্তি আয়ত্ব করার জন্য  ১৪ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে।

ফ্রাঙ্কলিন বলেন, ‘নিজস্ব ক্লাউড ব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে অনেক জ্বালানি খরচ কমাতে পারে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে এখানে ৯৫ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস নির্গমন কমাতে পারবে। দেশের চলমান জ্বালানি সমস্যার একটি সমাধানও হতে পারে এই প্রযুক্তি। ’

তিনি আরও জানান, নিজস্ব ক্লাউড ব্যবহার করলে বর্তমান ব্যাংকিং অবকাঠামোয় যে পরিমাণ খরচ হয় তা অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। উপরন্তু এই প্রযুক্তি প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

সম্প্রতি দেশে দোয়েল ল্যাপটপ তৈরির কথা উল্লেখ করে একে বাংলাদেশের একটি অগ্রগতি  বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতে ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি খুব কাজে লাগবে।

বাংলাদেশের বিদ্যমান অবকাঠামো আইটি খাতকে অনেক ব্যয়সাধ্য করতে পারে বলে মনে করেন ফ্রাঙ্কলিন। এক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের জন্য শুধু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময় ১৯৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।