কনট্যাক্ট লিস্ট, গোপনীয় বার্তা এমনকি অর্থনৈতিক তথ্যাদিও ফাঁস করা হয়েছে অনলাইনে। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছাড়াও সেলিব্রেটি এবং প্রভাবশালী সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত আইডিও আছে এই হ্যাকিংয়ের তালিকায়।
হ্যাকিংয়ের পেছনে কে বা কারা দায়ী, তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে দেশটির প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ ঘটনার সঙ্গে রাশিয়াপন্থী হ্যাকারদের হাত থাকতে পারে। কারণ চলতি বছরেই জার্মানিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং হ্যাকিংয়রে ধরন রুশ হ্যাকারদের মতোই বলে মন্তব্য করেন তারা।
ধারণা করা হচ্ছে, ইমেইল পাসওয়ার্ডের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে টুইটারে থাকা এসব ব্যক্তিদের আইডি হ্যাক করা হয়েছে। কবে থেকে এই হ্যাকিং কাজ শুরু হয়, তা জানা না গেলেও বিল্ড পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত এই হ্যাকিং চলে। অর্থাৎ হ্যাক হওয়া আইডিগুলো থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তথ্যাদি হ্যাকারদের কাছে চলে যায়।
হ্যাক হওয়া আইডি ও প্রকাশিত তথ্যাদির বিস্তারিত:
* আঙ্গেলা মেরকেল: ইমেইল ঠিকানা ও বিভিন্ন জনের সঙ্গে আসা-যাওয়া বার্তার বিস্তারিত।
* সংসদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যেমন দ্য গ্রিনস, ডায় লিঙ্কি এবং এফডিপি। তবে আরেক রাজনৈতিক দল এএফডি দলের আইডি এই হ্যাকিংয়ের শিকার হয়নি।
* রবার্ট হ্যাবেক: দ্য গ্রিনস দলের এই নেতার আইডি থেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে হওয়া চ্যাট বার্তার তথ্য এবং ক্রেডিট কার্ডের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।
* এআরডি এবং যেডিএফ চ্যানেলের বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, টিভি ব্যক্তিত্ব জ্যান বোহেরম্যান, র্যাপার মার্টেরিয়া এবং র্যাপ গ্রুপ কেআইজির আইডি হ্যাক হয়।
* ক্রিস্টিয়ান এহরিং নামে আরেক টিভি ব্যক্তিত্বের আইডি থেকে প্রাপ্ত প্রায় ৩.৮ গিগাবাইট তথ্য অনলাইনে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
এসএইচএস/টিএ