ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জব্বার-পলককে আইসিটি পরিবারের সংবর্ধনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
জব্বার-পলককে আইসিটি পরিবারের সংবর্ধনা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকারের মন্ত্রিসভার দুই সদস্য মোস্তাফা জব্বার ও জুনাইদ আহমেদ পলককে সংবর্ধনা জানিয়েছে আইসিটি পরিবার।

সোমবার (১৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোস্তাফা জব্বার আর বিশেষ অতিথি ছিলেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

আইসিটিখাতের বিভিন্ন সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইসপ্যাব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) এবং ই- কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) যৌথ উদ্যোগে ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ফুল ও ক্রেস্ট দিয়ে অতিথিদের প্রতি সম্মাননা জানায় সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও শাখা কমিটির পক্ষ থেকে।  

সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়, টানা দ্বিতীয় মেয়াদে মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পেয়েছেন আইসিটি ও টেলিকমখাতের এই দু’নেতা। তাদের এই অর্জনে গর্বিত দেশের আইসিটি পরিবার। এজন্যই সংবর্ধনার মাধ্যমে তাদের সম্মান জানায় সংগঠনগুলো।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত ১০ বছরে দেশের যে পরিবর্তন হয়েছে তা বিশ্বের কাছে অনুকরণীয়। আমরা ‘টেক-অফ’র প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামী ৫ বছর আকাশে উড়বো। আইসিটিখাতে বিশ্বকে আমরাই নেতৃত্ব দেবো। আমরা এখন কাজ করছি যেন দেশের মানুষ সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট পায়।

এসময় সংগঠনগুলোর প্রশংসা করে তিনি বলেন, এই ৫টি ট্রেড বডি সাধারণ মানুষদের থেকে এক পা হলেও এগিয়ে থাকে। এই ট্রেড নদীগুলোর জন্যই আমরা অসামান্য কিছু অর্জন করতে পেরেছি।  

আইসিটি খাতে সরকারের পরিকল্পনার কথা জানিয়ে পলক বলেন, আইসিটি শিক্ষাকে প্রাথমিক স্তরে বাধ্যতামূলক করার জন্য আমরা কাজ করছি। আগামী পাঁচ বছরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২৫ হাজার ৫শ’টি শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হবে। এসব ল্যাবের প্রতিটিতে ২১টি করে ল্যাপটপ দেওয়া হবে যেগুলোর গায়ে লেখা থাকবে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’।

তিনি আরও বলেন, ২০২০ সালের মধ্যে দেশের সর্বত্র এলাকায় ব্রডব্যান্ড’র আওতায় আনা হবে ও ইন্টারনেট ফর অল প্রকল্পের মাধ্যমে সবাই দাড় গোড়ায় ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রায় ১৬০০ সরকারি সেবা ডিজিটালাইজ করা হবে ও কর্মসংস্থান হবে প্রায় ২০ লাখ তরুণের।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার, ইসপ্যব’র সভাপতি এম এ হাকিম, বাক্যের সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরিফ এবং ই-ক্যাবের সভাপতি শমী কায়সার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৯
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।