ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তিন দিনব্যাপী বেসিস সফটএক্সপো শুরু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
তিন দিনব্যাপী বেসিস সফটএক্সপো শুরু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক-ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা: শুরু হয়েছে দেশের সফটওয়্যার এবং আউটসোর্সিং খাতের প্রদর্শনী ‘বেসিস সফটএক্সপো -২০১৯’। প্রায় ২৫০টিরও বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে এবারের সফটএক্সপোর ১৫তম আসর। এবারের আসরের স্লোগান ‘টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি’।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) আনুষ্ঠানিকভাবে এই এক্সপোর উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, এক্সপো কমিটির আহ্বায়ক ফারহানা এ রহমান, বাংলাদেশ কমিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেবসহ বেসিসের সদস্যরা এবং এক্সপোতে অংশ নেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আগামীর সমৃদ্ধির জন্য প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। ১০ বছর আগেও ঢাকার বাইরে ব্রডব্যান্ড কানেকশন ছিল না। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে অপটিক্যাল ফাইবার ছিল না। এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক আছে। ইন্টারনেট গ্রাহক আছে প্রায় ১০ কোটি; ৯৫ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের আওতাধীন। ‘কানেক্টেড বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলসহ দেশের সব ইউনিয়নের হাই স্পিড ইন্টারনেট কানেকটিভিটি দেওয়ার জন্য কাজ করছে সরকার।

তথ্য প্রযুক্তি খাতে সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯ হাজার শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব তৈরি করা হয়েছে। আরও প্রায় ২৫ হাজার ৫০০ ল্যাব তৈরির কাজ চলছে। ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে আরও ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরির জন্য প্রাইভেট খাতের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে সরকার। দেশের সরকারি প্রকল্পগুলিতে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহৃত হবে তা দেশীয় প্রতিষ্ঠান থেকেই নেওয়া হবে। বিদেশিদের কাছ থেকে নেওয়া হবে না। এরজন্য ২০২১ সাল নাগাদ দেশের তরুণ সমাজকে আইটিতে প্রস্তুত করতে শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তৈরির কাজ চলছে।

এর আগে সভাপতির বক্তব্যে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, ইন্টারনেট ফাইবার শুধু ইউনিয়ন পর্যন্ত ছড়িয়ে দিলেই হবে না বরং আইএসপিগুলোর মাধ্যমে সেসব এলাকায় সুলভ মূল্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দিতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সত্যিকার সুফল ভোগ করতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।  

এবারের আয়োজনে অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে জাপান ডে, কর্পোরেট আওয়ার, আইসিটি ক্যারিয়ার ক্যাম্প, গেমিং ফেস্ট এবং বিটুবি ম্যাচ মেকিং সেশন। এছাড়াও এক্সপোর তিনদিনে আইসিটি বিষয়ক ৩০টির বেশি সেমিনার আয়োজিত হবে যেখানে শতাধিক আইসিটি বিশেষজ্ঞ বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এদের মধ্যে কানাডা, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র এবং সুইডেন থেকে বিদেশি আইটি এবং আইসিটি বিশেষজ্ঞরা প্যানেল বক্তা হিসেবে অংশ নেবেন।  

এই এক্সপো চলবে ২১ মার্চ পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিনামূল্যে এক্সপোতে প্রবেশ করা যাবে।  

এক নজরে বেসিস এক্সপো -২০১৯
*১০টি বিশেষ জোনে ভাগ করে ২৫০+ স্টল
*সফটওয়্যার সেবা প্রদর্শক -১০৯টি 
*আইটিএস ও বিপিও প্রদর্শক - ২৯
*এক্সপেরিয়েন্স জোন - ১৮
*ডিজিটাল কমার্স জোন - ২৭
*উদ্ভাবনী মোবাইল সেবা জোন -২০
*উইমেন জোন - ১৪
* ইন্ডাস্ট্রি জোন ৪-১৪
*ভ্যাট জোন-৮
*ডিজিটাল এডুকেশন জোন-৭
*ফিনটেক জোন-০৪

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
এসএইচএস/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।