ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

শুরু হলো তিন দিনব্যাপী ল্যাপটপ মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০১৯
শুরু হলো তিন দিনব্যাপী ল্যাপটপ মেলা বক্তব্য রাখছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীতে শুরু হলো তিন দিনব্যাপী ল্যাপটপ মেলা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে  এক্সপো মেকারের আয়োজনে ২১তম বারের মতো আয়োজিত এ মেলা চলবে শনিবার (১৩ জুলাই) পর্যন্ত।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলার উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এসময় এক্সপো মেকারের কৌশলগত পরিকল্পনাকারী মুহম্মদ খানসহ মেলায় অংশ নেওয়া প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের আগে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশে কম্পিউটারের যাত্রা যখন শুরু হয়, তখন ব্যবহারকারীদের দেখিয়ে দিতে হতো যে, মাউস কিভাবে নাড়াতে হয়, কিবোর্ড কিভাবে চালাতে হয়। যারা আমাদের দেশে কম্পিউটার বিক্রি করেন তারা সেলস ম্যানের থেকে শিক্ষকের ভূমিকা পালন করেন বেশি। যার সুফলটা হচ্ছে এই যে, আজ আর কেউ এসে জিজ্ঞেস করে না যে, কম্পিউটারের যন্ত্রাংশগুলো কিভাবে কাজ করে। একই সঙ্গে পরিবর্তিত হয়েছে ডেস্কটপ ব্যবহারের প্রকৃতিও। আগে মনে করা হতো যে, কম্পিউটার বলতে শুধু ডেস্কটপ বিক্রি হবে। কিন্তু এখন এটা স্পষ্ট যে, ল্যাপটপে মানুষ এতোটাই আগ্রহী যে, ডেস্কটপ খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখন এমন এক সময়ে দাঁড়িয়ে আছি, যখন বিপ্লবের সময়। এখন ডেটার কথা বললে একজন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর স্পিডের হিসাব এমবিপিএস এ করে। সামনে সময় আসছে যখন জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) নিয়ে কথা বলবো আমরা। ফাইভ জিতে ডেটার হিসাব হবে বহুগুণে, জিবিপিএস এ। ২০০৮ সালে আমাদের ইন্টারনেট ব্যান্ড উইথের পরিমাণ ছিল মাত্র ৮ জিবিপিএস এখন সেটি টেরাবাইট ছাড়িয়ে গেছে ১১০০ জিবিপিএস এর ওপরে। সামনের রূপান্তর আরও চমৎকার হবে। বাংলাদেশে এমন কোনো গ্রাম, ইউনিয়ন বা ছিটমহল থাকছে না যেখানে হাইস্পিড ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি নেই। বাংলাদেশে কম্পিউটারের ভবিষ্যত বাজার অনেক বড়।

মেলার সার্বিক আয়োজন নিয়ে মুহম্মদ খান বলেন, এধরনের মেলা আমরা যখন প্রথম প্রথম শুরু করি, তখন ল্যাপটপ ডেস্কটপ তথা কম্পিউটার নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করতো। এখন আর তা নেই। ধারাবাহিকভাবে আমরা এধরনের আয়োজন করে যাচ্ছি। প্রতিবারই গ্রাহক দর্শণার্থীদের ব্যাপক সাড়া পাই। এবারও আমাদের আশা যে, আগের সব আয়োজনের থেকে বেশি সফল হবে।

প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে মেলা প্রদর্শনী। আসুস, ডেল, এইচপি, লেনোভোসহ নামিদামি ব্র্যান্ডের প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই নিজেদের স্টল নিয়ে থাকছেন এ মেলায়। মেলায় প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা। তবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় অথবা পরিচয়পত্র দেখিয়ে এবং প্রতিবন্ধীরা বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এসএইচএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।