ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশীয় ব্যবসায়ীদের সম্ভাবনাময়ী বাজার আমাজন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
দেশীয় ব্যবসায়ীদের সম্ভাবনাময়ী বাজার আমাজন সম্মেলনে ব্যবসায়ী অতিথিরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশের ব্যবসায়ী, প্রস্তুতকারক এবং উৎপাদকদের জন্য সম্ভাবনাময়ী মার্কেটপ্লেস বা বাজার হতে পারে বিখ্যাত মার্কিন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজন। স্বল্প বিনিয়োগে আমাজনের মাধ্যমে তথা ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব বাজারে নিজেদের পণ্যের প্রসার করতে পারেন দেশীয় ব্যবসায়ীরা।

শনিবার (২০ জুলাই) অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবস্থা পাইওনিয়ারের উদ্যোগে আয়োজিত সম্মেলনে এমনটাই জানান আমাজন এবং অন্যান্য ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা। ‘দ্যা পাইওনিয়ার ফোরাম: সেলিং গ্লোবালি উইথ আমাজন’ শীর্ষক এই সম্মেলনটির আয়োজন হয় রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পাইওনিয়ার বাংলাদেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নাহিদ হাসান, পাইওনিয়ারের ডিরেক্ট সেলস (ই-কমার্স) বিভাগের প্রধান অমিত আরোরা, আমাজনের সেলস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আনশুমান হার্জাই, ই-কমার্স সাইট স্টেলকরের প্রতিষ্ঠাতা ভারত মণ্ডত, একস প্রো এবং টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমান।

সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে পাইওনিয়ার বাংলাদেশের বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান নাহিদ হাসান বলেন, পাইওনিয়ার সবসময় স্থানীয় কমিউনিটি নিয়ে কাজ করে। সে হিসেবে পাইওনিয়ার বাংলাদেশ এখনকার স্থানীয় কমিউনিটিদের নিয়ে বিশেষ করে ই-কমার্স ব্যবসায়ী এবং উদ্যোক্তাদের সাহায্যে কাজ করে যাচ্ছে। আমাজনের প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী এবং প্রস্তুতকারকদের দারুণ একটি সম্ভাবনা আছে। যা আমরা অনেকেই সেভাবে জানি না। সে বিষয়েই সবাইকে জানাতে এবং আমাজনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের স্থানীয়দের একটি যোগাযোগ সেতু তৈরি করতে পাইওনিয়ারের এই আয়োজন। যেমন- এখানে আমাজন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশীয় উদ্যোক্তারা সরাসরি যোগাযোগ বা নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ পেলেন আজ। এছাড়া আমাজনের সঙ্গে দেশীয় যেসব ব্যবসায়ী কাজ করবেন, তাদের টাকা আমাজন থেকে বৈধ উপায়ে দেশে নিয়ে আসার জন্য পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবেও কাজ করতে পারে পাইওনিয়ার। আমাজন ব্যবসায়ীর একাউন্টে টাকা জমা দিলেই এখানকার ব্যবসায়ী দেশে বসেই তার টাকা পেয়ে যাবেন। কারণ আমাজনের পার্টনার পাইওনিয়ার। ব্যবসায়ীদের টাকা পেতে আর বাড়তি কোনো ঝামেলা নিতে হবে না।

আমাজনের সঙ্গে ব্যবসার বিভিন্ন দিক ও সম্ভাবনা তুলে ধরে প্রতিষ্ঠানটির সেলস অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আনশুমান হার্জাই বলেন, বাংলাদেশে অনেক ধরনের পণ্য আছে, যেগুলোর বিশ্ব বাজারে ভালো চাহিদা। বিশেষ করে এপারেল এবং চামড়াজাত পণ্যে বাংলাদেশ চীনের পর বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানিকারক। এভাবে স্বাস্থ্যগত, সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য, খাবারসহ বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসায়ীরা আমাজনের সাহায্য নিয়ে নিজেদের ব্যবসা আরও বড় করার সুযোগ পাবেন। আপনার একটি পণ্য রপ্তানি করতে হলে গোডাঊন থাকা লাগে, আর কেউ খুচরা বিক্রি করতে চাইলে তার খরচ অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু এখন আমাজন চলে আসায় এই সমস্যাগুলো থাকবে না এবং গ্লোবাল সেলারদের সঙ্গে একটা ভালো নেটওয়ার্ক তৈরিরও সুযোগ তৈরি হবে।

একস প্রো এবং টেক রাজশাহীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহফুজুর রহমান বলেন, আমাজনের সঙ্গে কাজ করা বিভিন্ন ধরনের সেলারদের সেবা দেবো আমরা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৪৪টি গ্রাহক আছে, যার মাত্র একটি বাংলাদেশের। তাই বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য বড় এবং সম্ভাবনাময়ী বাজার পড়ে আছে। যারা এই প্ল্যাটফর্মে আসবেন, তাদের নানাবিধ সেবা দিতে প্রস্তুত আমরা।

পাইওনিয়ার আয়োজিত এই সম্মেলনে দুই শতাধিক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
এসএইচএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।