ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘টিম অলিক’কে ফের আমন্ত্রণ জানাবে নাসা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
‘টিম অলিক’কে ফের আমন্ত্রণ জানাবে নাসা

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার ‘স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮’র চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের ‘টিম অলিক’ এর সদস্যরা ভিসা জটিলতায় সংস্থাটির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যেতে না পারায় তাদের আবারও আমন্ত্রণ জানানো হবে।

‘টিম অলিক’ না যাওয়ায় নাসার কর্মকর্তারা ‘খুবই ব্যথিত’ জানিয়ে আগামী বছরই (২০২০) এই টিমকে ফের আমন্ত্রণ জানিয়ে সংবর্ধনা দেবেন বলে জানান।

তবে গত ২২ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নাসার এবারের অনুষ্ঠানে যোগ দেয় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) ‘টিম অলিক’।

তারা নিজেদের প্রকল্প ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে তুলে ধরে। পাশাপাশি অংশ নেয় অন্য ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়ন ফিলিপাইন, কানাডা, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া এবং আর্জেন্টিনা।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের ভিডিও স্পিচ নাসার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, আয়োজক, বিজয়ী দল ও তাদের লিডারদের সামনে উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নাসার আর্থ সায়েন্স ডিভিশনের ব্যবস্থাপক ড. সোবহানা এস গুপ্তা, অ্যারো স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার ক্যালি বার্ক; ইনফরমেশন টেকনোলজি স্পেশালিস্ট অ্যান্ড্রু ডেনিও।  

এসময় নাসার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা জানান, ‘টিম অলিক’ আসতে না পারায় তারা খুবই ব্যথিত। যেহেতু টিমটি এ বছর আসতে পারেনি, তাই আগামী বছর (২০১৯ এর) বিজয়ী দলগুলোর সঙ্গে ডেকে ‘টিম অলিক’কে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

চ্যাম্পিয়ন প্রজেক্টগুলো আগামী দিনগুলোতে কীভাবে ফান্ড রেইজ ও স্কেলেবিলিটিতে কাজ করবে, সে বিষয়ে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিস্তারিত তুলে ধরেন নাসার আর্থ সায়েন্স ডিভিশনের ব্যবস্থাপক ড. সোবহানা এস গুপ্তা।  

বিজয়ী দলের সদস্যরা কীভাবে ভবিষ্যতে নাসায় চাকরি এবং ইন্টার্নশিপে কাজ করতে পারেন সে বিষয়ে আলোচনা করেন নাসার সাবেক স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বিজয়ী ও সংস্থার কর্মকর্তা অ্যান্ড্রু ডেনিও।

বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সভা করেন অ্যারো স্পেইস ইঞ্জিনিয়ার ক্যালি বার্ক। বাংলাদেশ ভবিষ্যতে রকেট লঞ্চ নিয়ে কীভাবে কাজ করতে পারে, নাসার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ বিষয়ে কীভাবে একযোগে করা যায় তা নিয়েও আলোচনা হয়। তাছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থায় কীভাবে স্পেস সায়েন্স নিয়ে কাজ করা যায় সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।   

ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে মূল সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক দেশ করা যায় কি-না তা নিয়েও আলোচনা হয় সভায়। পাশাপাশি সরকারি এবং বেসরকারিভাবে এ বিষয়ে আয়োজকদের প্রস্তুতির বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়।

কীভাবে এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশ আরও ভালোভাবে অংশ নিতে পারে সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের আহ্বায়ক দিদারুল আলম এবং যুগ্ম-আহ্বায়ক আরিফুল হাসান।  

দিদারুল আলম বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সহায়তায় বেসিস গত চার বছর ধরে বাংলাদেশে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ আয়োজন করে আসছে। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। প্রকল্প বাছাই, ৩৬ ঘণ্টার হ্যাকাথন আয়োজন, ফলাফল প্রেরণ, চূড়ান্ত পর্যায়ের বিচারপর্ব সফলভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয়।  

তিনি বলেন, নাসার সঙ্গে আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এখন এ প্রতিযোগিতা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা কাজ করার সুযোগ পাবে। সামগ্রিকভাবে দেশ এগিয়ে যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।