বিশ্বের অধিকাংশ স্প্যাম এবং ভাইরাসের জন্য ইমেইল এবং সামাজিক সাইটগুলোই সবচেয়ে বেশি দায়ী। এর মধ্যে ইয়াহু (২৭ ভাগ), ফেসবুক (২৩ ভাগ) এবং জিমেইল (১৯ ভাগ)।
স্প্যাম উদ্ভাবকেরা সাধারণত ইমেইল বুটনেটস কৌশল প্রয়োগ করে পাসওয়ার্ড এবং বাণিজ্যিক তথ্যগুলো সংগ্রহ করে। এ আক্রমণে ৩০ ভাগ আক্রান্ত হয় মাইক্রোসফট।
এ ছাড়াও পাবলিক ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক, ‘ইজি টু গেস’ পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে এবং ফেসবুকের ২৩ ভাগ ব্যবহারকারী নিজের অজান্তেই স্প্যাম এবং ভাইরাস ভাইরাস ছড়াতে পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়ে।
সাইবাররুম পণ্য ব্যবস্থাপনার সহসভাপতি অভিলাশ সাওয়ান জানান, এ ধরনের আক্রমণে নির্মল বিশ্বাসই হচ্ছে আক্রমণকারীদের প্রধান পুঁজি।
ইমেইল এবং সামাজিক মিডিয়াও এ ভাইরাস ছড়ানো প্রকল্পে ইন্ধন যুগিয়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন ভবিষ্যতেও এ স্প্যাম এবং ভাইরাস সংস্কৃতি আরও বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে।
এসব আক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পেতে পাসওয়ার্ড ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা এবং পাবলিক ডমেইন ব্যবহারে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
সাইবার রুম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাসওয়ার্ড ম্যানেজারের মাধ্যমে পিসি, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট পিসির দ্রুত অ্যাকসেস পদ্ধতির মাধ্যমে ভাইরাস এবং স্প্যাম ছড়িয়ে পড়েছে। এক্ষেত্রে পরামর্শক দল ইমেলই এবং সামাজিক মিডিয়ায় প্রবেশের সশয় ‘রিমাইন্ড মি’ অপশনটিকেই সবচেয়ে বেশি দায়ী বলে চিহ্নিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময় ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১১