ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ সামলাতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ সামলাতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারসহ অতিথিরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ কাজ করছে বলে জা‌নিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কমনওয়েলথ টেলিযোগাযোগ সংস্থার (সিটিও) ৫৯তম কাউন্সিল সভা ও বার্ষিক ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

‘টুওয়ার্ডস এ ডিজিটাল কমনওয়েলথ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ৪ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকায় দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজিত এ সম্মেলনে সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।

বৈঠকে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যের বিষয়টি সামনে রেখে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

এবারের সম্মেলনে ১৫টি সেশনের একটি বড় অংশজুড়ে ৫জি এবং সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশে ফোরজি চালু করেছি। ইতোমধ্যে ৫জির সফল ট্রায়াল করা হয়েছে। খুব দ্রুত ৫জি লাইসেন্স দিতে পলিসি ও ইকোসিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে।

তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার উদাহরণ টেনে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ এখন তলা‌বিহীন ঝু‌ড়ি নয়। উন্নয়নের অভিযাত্রায় অপ্র‌তি‌রোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর কাছে বাংলাদেশ এখন তথ্যপ্রযুক্তিতে সফল একটি দেশের নাম। ইতোমধ্যে চার হাজার ১৪৯ ইউনিয়নে এক লাখ ২০ হাজার ফাইবার অপটিক ক্যাবল দিয়ে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতুল্লাহ। উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, টেলিযোগাযোগ সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং কমনওয়েলথের টেলিযোগাযোগ সংস্থার ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব গিসা ফুয়াতাই পারসেল।

এই আয়োজনে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো ছাড়াও অন্যান্য দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী, সচিব, রেগুলেটর প্রধান, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাসহ টেলিকম ও তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট দেশি-বিদেশি প্রায় ২৫০-৩০০ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন।

সিটিও সদস্য রাষ্ট্রগুলোর টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিকে সংহত করতে সহযোগিতা দেয়, যা জনগণকে ক্ষমতাবান ও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করে। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ সংস্থাগুলোর মধ্যে এটি বহুল পরচিতি। যার সদরদপ্তর লন্ডনে। কমনওয়েলথভুক্ত সব সংস্থার মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রাচীন এবং সর্ববৃহৎ সংস্থাটির সদস্য দেশের সংখ্যা ৫৩টি। বাংলাদেশ সিটিও’র একটি পূর্ণ সদস্য দেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।