ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বরিশালে ৫ দিনের ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
বরিশালে ৫ দিনের ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো  ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো বরিশাল ২০১৯ এর সংবাদ সম্মেলন: ছবি-বাংলানিউজ

বরিশাল: ‘তারুণ্য আর প্রযুক্তি, ডিজিটাল বরিশালের শক্তি’ এ স্লোগানে বরিশালে পাঁচ দিনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ও জীবনধারাভিত্তিক প্রদর্শনী ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো বরিশাল ২০১৯’ শুরু হতে যাচ্ছে।

বুধবার (০১ জানুয়ারি) নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে নগরের আছমত আলী খাঁন ইনস্টিটিউশন (এ.কে. স্কুল) মাঠে সচেতনতামূলক ও ব্যবসাবান্ধব এ প্রদর্শনী শুরু হবে। চলবে ০৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।

 

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে একে ইনস্টিটিউশনের সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন বলেন, প্রযুক্তি বিপ্লবের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে সামিল হতে সরকারের সদিচ্ছার সঙ্গে বিসিএস’র প্রচেষ্টা অন্তহীন। আমরা চাচ্ছি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স, বিগডাটা, ব্লক চেইন, আইওটিসহ ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির কাঙ্খিত বিকাশ। শিক্ষাকে পর্যায়ক্রমে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে রূপান্তর, আর্থিক খাতের লেনদেনকে ডিজিটাল করা, এ দেশকে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য উংপাদনকারী দেশে পরিণত করার জন্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করছি।

তিনি বলেন, সরকারি উদ্যোগে হাইটেক পার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা, পদ্মাসেতু, পায়রা বন্দর দেশের অন্যতম সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক বলয় বরিশালের তরুণ প্রজন্মকে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। আমাদের এ আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য হলো ডিজিটাল প্রযুক্তির কার্যকর প্রসার, ব্যবহার ও এ শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে বরিশালে সমৃদ্ধির বীজ রোপণ করা, দেশের মূল স্রোতের সঙ্গে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বরিশালের নতুন প্রজন্মকে প্রস্তুত করা।

তিনি আরও বলেন, ০১ জানুয়ারি প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর এদিন দুপুর ২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পর দিন থেকে তা চলবে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। প্রদর্শনীর শেষ হবে ০৫ জানুয়ারি রাত ৯টায়।

তথ্যপ্রযুক্তির দেশি-বিদেশি জনপ্রিয় ও সুপরিচিত ব্র্যান্ড, আমদানিকারক, প্রস্তুতকারক ও সরবরাহকারী এবং স্থানীয় ৫৬টি প্রতিষ্ঠান এ প্রদর্শনীতে অংশ নেবে। এতে তারা মূলত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার পণ্যসামগ্রী, নেটওয়ার্ক ও ড্যাটা কমিউনিকেশন, টেলিকম সেবা ও পণ্যসামগ্রী, মাল্টিমিডিয়া, আইসিটি শিক্ষা উপকরণ, ল্যাপটপ, ডিজিটাল জীবনধারাভিত্তিক প্রযুক্তি ও পণ্য ইত্যাদির উন্নত ও হালনাগাদ সংস্করণ প্রদর্শন করবে। প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুট স্থানজুড়ে ৬০টি স্টল এবং সাতটি প্যাভেলিয়নে এসব প্রযুক্তি সামগ্রী প্রদর্শিত হবে।

প্রদর্শনীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির হালনাগাদ সংস্করণের প্রযুক্তিপণ্য এবং ডিজিটাল জীবনধারাভিত্তিক পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করা হবে। তথ্য প্রযুক্তি বিশ্বের নতুন সব আবিষ্কারের খোঁজ মিলবে এখানে। প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া তথ্য প্রযুক্তির দেশি-বিদেশি জনপ্রিয় ও বিখ্যাত ব্র্যান্ড, প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সেসব উপস্থাপন করবে।

এছাড়া প্রদর্শনী উপলক্ষে পৃষ্ঠপোষক, সহযোগী ও প্রদর্শক প্রতিষ্ঠানগুলো দিচ্ছে পণ্য ও সেবা বিক্রিতে আকর্ষণীয় মূল্য ছাড়। সেই সঙ্গে বিশেষ উপহার এবং বিশেষ সুবিধা। ফলে দর্শনার্থীরা আকর্ষণীয় মূল্যে পছন্দের প্রযুক্তিপণ্য কেনা-কাটা করতে পারবেন।  

মেলার প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। আর মেলার বিক্রিত টিকেটের ওপর সমাপনী দিনে অনুষ্ঠিত হবে র্যাফেল ড্র। আর এতে থাকবে বিভিন্ন আকর্ষণীয় উপহার। এছাড়া প্রদর্শক প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়োজনে মেলায় থাকবে বিভিন্ন তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের বিশেষায়িত প্রদর্শনী ও কুইজ প্রতিযোগিতা।

বাংলা‌দেশ সময়: ০৭০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এমএস/ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।