ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

প্রথমবারের মতো থ্রিডি হলোগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২০
প্রথমবারের মতো থ্রিডি হলোগ্রামে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ

ঢাকা: ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের সময়টাই যেন নেমে এসেছিল ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে। প্রথমবারের মতো থ্রিডি হলোগ্রামে ৭ই মার্চের ভাষণে মনে হচ্ছিল যেন একদম জীবন্ত। হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে, ধরা যাবে বঙ্গবন্ধুকে।

শনিবার (৭ মার্চ) আর্মি স্টেডিয়ামে আয়োজিত জয় বাংলা কনসার্টে ভার্চ্যুয়াল, হলোগ্রাফিক প্রযুক্তিতে হাজারও তরুণ-তরুণীর সামনে এভাবেই চোখের সামনে হাজির হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।  

পুরো পরিবেশনাটি আরো প্রাণময় হয়ে উঠেছিল শুরুতে হলোগ্রাফিক রূপে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার উপস্থিতিতে।

তাদের মুখে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ৩২ নম্বর সড়কের বাড়ির পরিস্থিতি, তাদের মা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের দূরদর্শী পরামর্শের স্মৃতিচারণ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠে উচ্চারিত কবিতার পঙক্তি পুরো পরিবেশকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যায়।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ২৩টি উক্তি নিয়ে থ্রিডি হলোগ্রাম তৈরি করেছে। এ প্রকল্পটির ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এনডিই সল্যুশন লিমিটেড হলোগ্রাফিক প্রযুক্তির কারিগরি দিকটি বাস্তবায়ন করেছে।

প্রতিষ্ঠানটির পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এনডিই সল্যুশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ এসএ হোসেইন বলেছেন, হলোগ্রাফি হচ্ছে এমন এক ধরনের ফটোগ্রাফিক প্রযুক্তি, যা কোনো বস্তুর ত্রিমাত্রিক ছবি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তিতে তৈরি করা ত্রিমাত্রিক ছবিই ‘হলোগ্রাম’ নামে পরিচিত। ’
 
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের হলোগ্রামটি আগামী ১৯ মার্চ জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিতব্য শিশুমেলা ও তথ্য প্রযুক্তি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কংগ্রেস-২০২০-এ আবারও লাইভ প্রদর্শন করা হবে বলে জানান এনডিই সল্যুশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াদ এসএ হোসেইন। এ ছাড়াও এ হলোগ্রাম ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের  বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে দর্শনার্থীদের জন্য স্থায়ীভাবে স্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

সবার মধ্যে স্বাধীনতার চেতনাকে উজ্জীবিত করা ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা এ হলোগ্রামের উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২০
ইইউডি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।