ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

মুজিববর্ষে ডিজিটাল সেবা ভোগ করবে ১০ কোটি মানুষ: পলক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
মুজিববর্ষে ডিজিটাল সেবা ভোগ করবে ১০ কোটি মানুষ: পলক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ছবি: বাংলানিউজ

সিলেট: মুজিববর্ষে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ১০০টি সেবা চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নে ডিজিটাল সার্ভিসগুলো নিশ্চিত করতে পারবো।

আর ২০২০ সালে মুজিববর্ষে ১০০টি সার্ভিস ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসবো। যাতে অন্তত ১০ কোটি মানুষ এ বছরেই সেবাগুলো পায়।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দেশের প্রথম ডিজিটাল সেবা চালু হচ্ছে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এতে রোগীদের হয়রানি, পয়সা খরচ কমবে, সঠিক চিকিৎসা ও সেবার মান বাড়ানো হবে। সিলেট নগরের ওয়াইফাই জোন এখনো টেস্টিং পর্যায়ে রয়েছে। কক্সবাজারে করা ওয়াইফাই জোন হাজারো পর্যটক ব্যবহার করছে। এরইমধ্যে সিলেটের ১৭৪টি স্থানে ওয়াইফাই জোন করা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে নিয়ে এটার উদ্বোধন করা হবে। আইসিটি ডিভিশন কাজ সম্পন্ন করে সিলেট সিটি করপোরেশনকে (সিসিক) হস্তান্তর করবে। তখন এর ব্যবস্থাপনা করবে সিসিক।

তিনি আরও বলেন, সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীর তথ্য, স্বাস্থ্য তথ্যসহ সব রেকর্ড ডিজিটালাইজেশনের আওতায় নেওয়া হচ্ছে। যা একটি নির্দিষ্ট সময় পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আমরা আশা করছি, ডিজিটাল সিলেটের যে মডেল প্রজেক্ট নিয়েছি। দেশের অন্যান্য শহরগুলোকেও সিলেটের মতো ডিজিটালাইজেশনের আওতায় আনা হবে। আর সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতাল ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় মানুষকে সচেতন করতে কাজ করছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিটি নাগরিককে সচেতন হতে হবে। আতঙ্কিত না হয়ে মোকাবিলা করতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে নির্দেশনা রয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে। আমরা সেটা স্যোশাল মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রচার করছি।

ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীর চাপ ও হাসপাতালের সেবা যুগোপযোগী করে তোলা কতটুকু সম্ভব এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, এক সময় রোগীকে পয়সা খরচ করে পরামর্শ নেওয়ার জন্য শহরে যেতে হতো। এখন রোগীকে সশরীরে না দেখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গ্রামের হাসপাতালের চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরামর্শ  এবং চিকিৎসা দিতে পারছেন। এভাবে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীর চাপটা প্রযুক্তির সেবার মাধ্যমে কিছুটা কমাতে পারবো। যাতে তাদের জীবন মানের উন্নয়ন হয়।

এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারবো বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

এরআগে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে হাসপাতালের কনফারেন্স হলে হসপিটাল হেলথ ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রতিমন্ত্রী পলক। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউনুসুর রহমান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. ময়নুল ইসলাম, হাসপাতালের উপ- পরিচালক হিমাংশু লাল রায়, সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২০
এনইউ/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।