ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আইসিটিতে দেশের ১৫ অর্জন

আইসিটি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১১
আইসিটিতে দেশের ১৫ অর্জন

বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল পথে এগোচ্ছে। তাই প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির খতিয়ানে প্রতিটি বছরের অর্জনই গুরুত্বপূর্ণ।

২০১১ সাল এ দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। আলোচনা-সমালোচনা গণ্ডি পেরিয়ে দেশের আইসিটি অঙ্গন এখন অনেকটাই সক্রিয়। তবে অপ্রাপ্তীর খাতা একেবারেই শূন্য নয়। বছরজুড়ে দেশের এমন আলোচিত ১৫ অর্জন নিয়ে লিখেছেন নাজনীন নাহার

১. এ বছর দেশের বাজারে স্যামসাং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আরএনডি) সেন্টার স্থাপন করে। এ মুহূর্তে ছয় শতাধিক দেশীয় কর্মচারি ও কর্মকর্তা এ সেন্টারে কর্মরত আছেন। ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যাবে বলে বাংলাদেশের স্যামসাং সূত্র জানিয়েছে।

২. ইন্টেল করপোরেশনের সহসভাপতি জন ডেভিস বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং বাংলাদেশে ইন্টেলের বাণিজ্যিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির আশ্বাস বেশ আলোচিত ঘটনা। এ সফরে তিনি বাংলাদেশে ইন্টেল পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে আশ্বাস দেন।

৩. সরকারের সঙ্গে যৌথউদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আইবিএম ২০ হাজার ৫০০টি ল্যাপটপ এবং প্রজেক্টর বিতরণের কার্যক্রম শুরু হয় এ বছর। দেশের সফটওয়্যার শিল্পে আইবিএম বিনিয়োগের আশ্বাস দেয়। এ ছাড়াও ডেল, এইচপি, এমডিরসহ বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষস্থানীয়দের বাংলাদেশ ভ্রমণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়।

৪. স্থানীয় বাজারে দেশীয় পণ্য হিসেবে ‘দোয়েল’ ল্যাপটপ বাজারে প্রবেশ করে। এ ছাড়াও বিজয় ল্যাপটপও বাজারে প্রবেশ করে।

৫. থ্রিজি (থার্ড জেনারেশন) লাইসেন্সের ঘোষণা এবং পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু হয়।

৬. অনলাইন ব্যাংকিংয়ের প্রসারসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের যাত্রা শুরু। বাংলাদেশ ব্যাংক ১২টি ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমতি দেয়।

৭. দেশে মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা বেড়ে ৭ কোটি ৪০ লাখ হয়।

৮. সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে নাগরিক সেবা, ইউটিলি বিল, শিক্ষা, কৃষি, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে মোবাইল প্রযুক্তির সফল ব্যবহার শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি সংক্রান্ত তথ্য প্রচার ও তথ্য সহযোগিতা ২০১১ সালে নাগরিক সেবায় প্রযুক্তির মাইলফলক।

৯. দেশে ৪৫০১টি ইউনিয়ন তথ্যকেন্দ্র স্থাপিত হয়। এগুলোর মাধ্যমে কৃষি, স্বাস্থ্য তথ্য প্রদান ছাড়াও তৃণমূল মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যাপকভাবে চালু হয়। এ ছাড়া দেশের ৬৪টি জেলাকে তথ্যপ্রযুক্তি সেবাভুক্ত করা হয়।

১০. মন্ত্রণালয় তথ্য সমৃদ্ধ ওয়েবসাইট প্রস্তুত এবং সর্বস্তরে তথ্যধিকার নিশ্চিত করতে ই-তথ্যকোষ তৈরি করা হয়। ২০১৩ সাল নাগাদ এ পৃষ্ঠার সংখ্যা ৫০ লাখ হবে।

১১. বিটিসিএল কর্তৃক ব্যান্ডউইথের দাম কমিয়ে ১এমবিপিএস ১০ হাজার করা হয়। এ ছাড়া ৫০০ টাকায় ওয়াইম্যাক্স প্রযুক্তির ৫১২ কেবিপিএস ইন্টারনেট সেবা চালু হয়।

১২. বিশ্ববাজারে আউটসোর্সিয়ে বাংলাদেশ ৩য় স্থান অর্জন করে। আউটসোর্সিং খ্যাত প্রতিষ্ঠান ওডেক্স সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

১৩. কপিরাইট আইন প্রণয়নে সরকারের কর্মকান্ডের সূচনা হয়।

১৪. বাংলাদেশ কমপিউটার কাউন্সিলে প্রথম তথ্যকেন্দ্র (ডাটা সেন্টার) স্থাপিত হয়।

১৫. অনলাইনে সামাজিক নেটওয়ার্কে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এ বছর ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সঙ্গে দেশের জনগোষ্ঠীর ভাষা এবং প্রযুক্তি জ্ঞানের গুণগত মানোন্নয়নও সুনিশ্চিত হয়।

বাংলাদেশ সময় ১৮২৫ ঘন্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।