ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নিরবচ্ছিন্ন ডাকসেবা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
নিরবচ্ছিন্ন ডাকসেবা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ

ঢাকা: করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত ছুটির সময়ে সঞ্চয়পত্র, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংক, ডাক-জীবন বিমা, ডিজিটাল কমার্স এবং করোনা চিকিৎসা উপকরণ পিপিই (পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট) ও কিট দেশব্যাপী সিভিল সার্জন কার্যালয়গুলোতে দ্রুত পৌঁছানোসহ নিরবচ্ছিন্ন ডাকসেবা নিশ্চিত করতে ঢাকায় কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে।

কোভিড-১৯ সৃষ্ট বৈশ্বিক দুর্যোগে কাঙ্খিত সেবা নিশ্চিত করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের নির্দেশে স্থাপিত ডাকঘর কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ গ্রাহক সেবায় কাজ করছে বলে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষের নম্বরগুলো হলো: ০১৫৫০০৬৩৭০০-২২ এবং ওয়েবসাইট (www.bdpost.gov.b)।

কোভিড-১৯ জনিত সরকার ঘোষিত ছুটির সময় ডাক সেবা অব্যাহত রাখতে গত ২৮ মার্চ হতে জিপিও, জেলা প্রধান ডাকঘর, উপজেলা ডাকঘর, সাব-পোস্ট অফিস, টাউন সাব-পোস্ট অফিস এবং সীমিত সংখ্যক গ্রামীণ ডাকঘর ও ডিজিটাল ডাকঘরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এ সব ডাকঘর থেকে সব কার্যদিবসে সীমিত পরিসরে বিশেষ ব্যবস্থায় সকাল ১০টা হতে বেলা ১টা পর্যন্ত ডাকসেবা দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে ডাক অধিদপ্তরের মেইল গাড়িগুলো দেশব্যাপী নিয়মিত চলাচল করছে।

গত ২৮ মার্চ থেকে গত ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত মোট পাঁচ লাখ ১৯ জন গ্রাহক ডাকসেবা নিয়েছেন। এ সময় পর্যন্ত মোট লেনদেন হয়েছে ৫৩৮ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৭৭৯ টাকা।

সরকারি এ ছুটির সময় ৭টি ৭ টনি গাড়ি, ১১টি ৫ টনি গাড়ি, ৩০টি ৩ টনি গাড়ি, ২০টি দেড় টনি গাড়ি এবং ১৯টি এক টনি কাভার্ডভ্যান ঢাকার কেন্দ্রীয় ওষুধাগার থেকে কিটস, পিপিই, ওষুধপত্র এবং মেইল ও ক্যাশ পরিবহন করে আসছে।

মন্ত্রী গ্রাহক সাধারণকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডাকঘরগুলো থেকে সেবা নিতে অনুরোধ করেছেন।

এছাড়া বৈশ্বিক এ দুর্যোগের সময়েও ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ঘরে বসে নিরবচ্ছিন্নভাবে ডিজিটাল সেবা নির্বিঘ্ন করতে জরুরি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবাকে জরুরি সেবার অন্তর্ভূক্ত করে গত ২৪ মার্চ সরকারি আদেশ জারি করা হয়। এর ফলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারসহ ইন্টারনেট ও টেলিফোন সেবায় নিয়োজিত সার্ভিস বিশেষ করে সাবমেরিন ক্যাবল, টেলিটক এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেটের (বিটিসিএল) জন্য যেকোনো পরিস্থিতিতে নিরবচ্ছিন্ন ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

মন্ত্রী নেটওয়ার্ক সচল রাখাসহ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেটের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে নিরলসভাবে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।