ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

করোনা মোকাবিলায় বিগডাটা-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় গুরুত্ব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
করোনা মোকাবিলায় বিগডাটা-কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় গুরুত্ব

ঢাকা: ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইসিটি এবং একই সঙ্গে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রস্তুতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে রোববার (১৭ মে) পালিত হতে যাচ্ছে ‘বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস’।

দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘সংযুক্তির ২০৩০: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি’।

জাতিসংঘের অঙ্গ সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) এর ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রের মতো বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বিটিআরসি প্রতি বছর নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করে আসছে।

তবে এ বছর করোনার বৈশ্বিক মহামারির কারণে অনলাইনে এবং বেতার ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারণার মধ্যেই দিবসটির কার্যক্রম সীমাবদ্ধ থাকবে। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ও বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানায় বিটিআরসি।

এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে ১৮ মে দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভার্চুয়াল সংলাপের আয়োজন করবে আইটিইউ। যেখানে প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার বিষয় প্রাধান্য পাবে।

এ দিবসের এক বার্তায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, বৈশ্বিক মহামারিসহ বিশ্বের যেকোনো জরুরি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন প্রযুক্তি তথা ফাইভজি, বিগ ডাটা, ক্লাউড কম্পিউটিং এবং কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা হতে পারে শক্তিশালী হাতিয়ার। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের কোটি কোটি মানুষকে সংযুক্ত করতে আশার বাতিঘর হিসেবে কাজ করতে পারে।

করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) এর বৈশ্বিক মহামারির সময়ে প্রিয়জন, স্কুল-কলেজ, কর্মস্থল, স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গ এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে যোগাযোগ রক্ষা করা অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিশ্ব টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য সংঘ দিবস আমাদেরকে মনে করিয়ে দেয়, করোনা ভাইরাসসহ বৈশ্বিক মহামারি মোকাবেলায় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা অর্জনে তথ্য প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।

দিবসটি উপলক্ষে আইটিইউ মহাসচিব হাউলিন ঝাও বলেন, বিশ্বের অর্ধেক জনগোষ্ঠী ইন্টারনেট ব্যবহার করছে না এবং বৈশ্বিক তথ্য প্রযুক্তির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি খুবই ধীরে ধীরে এগোচ্ছে। তাই সব মানুষকে বৈশ্বিক ডিজিটাল অর্থনীতিতে যুক্ত করতে সমন্বিত জোরালো প্রচেষ্টা দরকার।

২০৩০ সালের টেকসই উন্নয়নের এজেন্ডা অর্জনে এবং প্রযুক্তিগত বৈষম্য রোধে তথ্যপ্রযুক্তির সক্ষমতাকে কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন প্রযুক্তি তথা ফাইভ জি, ইন্টারনেট অব থিংগস, বিগ ডাটা, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা এবং ব্লকচেইন মানব জীবনে সমৃদ্ধি আনার পাশাপাশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় তথ্য প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য।

১৮৬৫ সালের ১৭ মে ফ্রান্সের প্যারিসে আর্ন্তজাতিক টেলিগ্রাফ কনভেনশন স্বাক্ষরের মাধ্যমে হয় প্রতিষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন। পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক টেলিগ্রাফ ইউনিয়ন ও ১৯০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক রেডিও টেলিগ্রাফ ইউনিয়নের একত্রিত নাম হয় আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন বা (আইটিইউ)। ১৯৬৯ সালের পর থেকে প্রতি বছর বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস পালন করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।