ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

এডিএ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হলো ইনসাইটক্লাব

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২০
এডিএ বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হলো ইনসাইটক্লাব ...

ঢাকা: বাংলাদেশের মার্কেটে গ্রাহকদের ইনসাইট সল্যুশন নিয়ে আরও বিস্তারিতভাবে কাজ করার লক্ষ্যে এডিএ বাংলাদেশের সঙ্গে একটি স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপে যুক্ত হয়েছে ইনসাইটক্লাব। ইনসাইটসক্লাব তাদের প্রোপাইটরি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন কাস্টমারদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ইনসাইট ও তাদের মার্কেটিং জার্নি সম্পর্কে যথাযথ তথ্য সংগ্রহ করে।

ইনসাইট ক্লাবের ডাটা ভিত্তিক বিশ্লেষণগুলো বিভিন্ন কনজুমার ব্র্যান্ডকে দ্রুততম সময়ে গ্রাহকদের ব্যাপারে সহজবোধ্য সঠিক তথ্য দিয়ে থাকে।
শুক্রবার (০৬ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

ইনসাইটসক্লাব মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর ভিত্তিক একটি স্টার্টআপ। এর প্রতিষ্ঠাতা পদ্মনাভান রামস্বামী এবং মৃতুঞ্জয় কুমার। গত সাড়ে তিন বছরে ইনসাইটসক্লাব এপিএসি থেকে এফএমসিজি, ব্যাংকিং, টেলকো, মিডিয়া, হসপিটালিটিসহ ৪০টির বেশি গ্লোবাল কনজ্যুমার ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।  

ডাটা এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে এডিএ সব প্রকার ডিজিটাল, অ্যানালিটিকস ও মার্কেটিং সল্যুশন নিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ৯টি দেশে কাজ করছে। এডিএ শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর ডিজিটাল এবং ডাটা’র পর্যালোচনার মাধ্যমে তাদের ব্যবসার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করছে।  

বাংলাদেশে এডিএ-র সঙ্গে কাজ করছে রবি, এয়ারটেল, রবিশপ, বিডিটিকেটস, মীনাক্লিক, ই-অরেঞ্জ, এসএসডিটেক, ইউনিলিভার, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, নভোএয়ার, ওয়ালটন, আইপিডিসি, সেভ দ্যা চিলড্রেন, স্কয়ার, রাকিন, আকাশ ডিটিএইচ, এলজি বাটারফ্লাইসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান।  

এডিএ-তে, আমরা গ্রাহকদের প্রাথমিক তথ্যের পাশাপাশি পার্সোনাল ও কালেক্টিভ চয়েস থেকে তাদের ইনসাইট পর্যালোচনা করে থাকি। মেশিন লার্নিং-এর মাধ্যমে গ্রাহক সম্পর্কে জেনে গ্রাহকের ডিজিটাল ফুটপ্রিন্ট থেকে তার একটি ইন্ডিভিজুয়াল এক্সপ্রেশন তৈরি করা হয়। পরবর্তী সময়ে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে ছোট বড় বিভিন্ন ডাটা পয়েন্ট নিয়ে ব্যবসায়ের বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। এক্সঅ্যাক্ট, এডিএ-র একটি টেলকো-পাওয়ার্ড প্ল্যাটফর্ম যা দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ৩৭৫ মিলিয়ন কাস্টমার প্রোফাইলের ডাটা ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম বা ডিএমপি পরিচালনা করে থাকে।

বাংলাদেশে এডিএ-র কান্ট্রি ডিরেক্টর আশরাফুল হক এই পার্টনারশিপ সম্পর্কে বলেন, আমরা সবসময়ই সমমনা পার্টনারদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী, যারা আমাদের অবস্থানটা বোঝে। এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের ধারাবাহিকভাবে সফল ডিজিটাল সমাধান দিতে সক্ষম হবো বলে আশা রাখি।  

ইনসাইটসক্লাব গ্রাহকের কন্টেন্ট ভিত্তিক চিন্তাধারা পর্যালোচনা করে ব্র্যান্ডের মিডিয়া ও ক্রিয়েটিভ কমিউনিকেশন ট্র্যাক করে। একটি মার্কেটিং টেকনোলজি মিডিয়া হিসেবে এটি একাধিক সোর্স থেকে ডাটা সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহ করে। এছাড়াও এটি সরাসরি গ্রাহকের চয়েজ থেকে স্ট্র্যাটেজি সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে সবচেয়ে কার্যকরভাবে ব্র্যান্ড ম্যাসেজ দিয়ে থাকে। এটি গ্রাহককে ব্র্যান্ড গাইডেন্সের পাশাপাশি ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কিত তথ্য দিয়ে গাইড করে এবং গ্রাহকের পছন্দ অনুযায়ী স্ট্র্যাটেজিক নির্দেশনা দিয়ে থাকে।

ইনসাইটসক্লাবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পদ্মনাভান রামস্বামী বলেন, ডিজিটাল উন্নয়নকে কেন্দ্র করে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে বাংলাদেশের বাজারের একটি প্রতিযোগিতামূলক সময় চলছে। আমাদের বিশ্বাস ইনসাইটসক্লাব এবং এডিএ-র সম্মিলিত চিন্তাধারা বাংলাদেশের মার্কেটে কাস্টমারদের জন্য গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২০
এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।