ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নিউইয়র্কে ৩ গবেষকের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ ফেসবুকের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২১
নিউইয়র্কে ৩ গবেষকের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ ফেসবুকের

ঢাকা: নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন জন গবেষকের বিরুদ্ধে অনৈতিক উপায়ে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছে বিশ্বের বৃহত্তম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক।  
গবেষণার জন্য তথ্যগত সাহায্য নেওয়ার কথা থাকলেও ফেসবুকের অনুমতি ছাড়াই গ্রাহকদের গোপন তথ্য সংগ্রহ করেছিলেন তিন গবেষক।

 মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ফেসবুক।

প্রতিষ্ঠানটির প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট ডিরেক্টর মাইক ক্লার্ক জানান, বিজ্ঞাপন পর্যবেক্ষণ প্রকল্পের আওতায় নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন গবেষককে নিজেদের প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত কিছু বিজ্ঞাপনের তথ্য দিয়ে আসছিল ফেসবুক। এগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রচারিত বিজ্ঞাপনও ছিল। তবে গবেষক দলের মধ্যে থেকে তিন জন গবেষক ফেসবুকের শর্ত, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অনৈতিক ও অবৈধ উপায়ে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে।  
এক পর্যায়ে তারা বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি গ্রাহকদের সংবেদনশীল তথ্যও সংগ্রহ করতে থাকে।

এর ফলশ্রুতিতে এই গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবার ফেসবুক আইডি, পেইজ, গ্রুপসহ অন্যান্য যাবতীয় বিষয় বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক। এমনকি ওই প্রকল্পে আর কোনো তথ্য সহায়তা না দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ফেসবুক বলছে, গবেষণার নামে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন কোনোভাবেই বৈধ হতে পারে না।

মাইক ক্লার্ক বলেন, আমরা সবসময়ই গবেষকদের স্বাগত জানাই কারণ তাদের গবেষণা আমাদেরকে জবাবদিহিতার মধ্যে রাখে। তবে গবেষণার নামে কোন অনৈতিক চর্চা মোটেই কাম্য নয়। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ গবেষকদেরসহ অন্যান্য গবেষকদের আমরা কিছু পদ্ধতি দেই যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রেখেও দরকারি তথ্য তারা পেতে পারতেন। কিন্তু তারা স্ক্র্যাপিং (গোপনে তথ্য আদায়ের একটি কৌশল) এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করে।
 

ক্লার্ক আরও বলেন, তারা ব্রাউজারে একটি এক্সটেনশন “Why I am seeing This” চালু করে এবং সেখান থেকে ব্যবহারকারীদের এমন কিছু তথ্য সংগ্রহ যা সাধারণভাবে ফেসবুকে প্রকাশিত হয় না। এমনকি যারা এই এক্সটেনশন ইন্সটল করেননি বা তথ্য সংগ্রহে অনুমতি দেননি, তাদের থেকেও তথ্য নিতে শুরু করেন ঐ গবেষকেরা। এক্সটেনশনটি চালু করার পূর্বে গেল বছরেও আমরা তাদেরকে বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করেছি এমনকি আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়েছি। কিন্তু তারা সেসব বিষয় আমলে নেয়নি তাই আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

 

তবে যারা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্রচার বিষয়ে গবেষণা করতে চান এবং তথ্যের দায়িত্বশীল ব্যবহার করবেন তাদের প্রতি তথ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয় ফেসবুকের পক্ষ থেকে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২১
এসএইচএস/এসআইএস  
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।