ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশে ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনোয়োগে ফেসবুকের আগ্রহ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২১
বাংলাদেশে ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনোয়োগে ফেসবুকের আগ্রহ

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বাংলাদেশে ডিজিটাল অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে সোমবার (০৯ আগস্ট) ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ও বিটিআরসির মধ্যে বিনিয়োগ সংক্রান্ত এক উচ্চ পর্যায়ের ভার্চ্যুয়াল বৈঠক শেষে এ তথ্য জানানো হয়।

বৈঠকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার বক্তব্য দেন।

বৈঠকে ফেসবুকের সিঙ্গাপুর আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি সাবনাজ রশিদ দিয়া, হেড অব কানেকটিভি টম সি, ভার্গিস ও কানেকটিভিটি এফেয়ার্স কর্মকর্তা তাহানি ইকবাল ফেসবুকের প্রতিনিধিত্ব করেন।

বৈঠকে বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ বাংলাদেশের টেলিকমখাতের অগ্রগতির চিত্র উপস্থাপন করেন।

সভায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশে চার কোটি ৮০ লাখ ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছেন। ব্যবহারকারী দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশ দশম।

২০১৮ সালে বার্সেলোনায় মোবাইল কংগ্রেসের সাইড লাইনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সফলতা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কোন্নয়নে বৈঠকটি ছিলো খুবই ফলপ্রসূ। বলা যায় এরই ধারাবাহিকতায় ফেসবুকের সাথে সম্পর্কের বরফগলা শুরু হয়।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী ডিজিটাল সংযোগ সম্প্রসারণের ফলে বাংলাদেশে উচ্চগতির ইন্টারনেটের চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। শক্তিশালী নেটওয়ার্ক যত সম্প্রসারিত হবে ফেসবুকের ব্যবহারকারী ততো বাড়বে, এতে ফেসবুকও অনেক বেশি লাভবান হবে।

মন্ত্রী বাংলাদেশে ফেসবুকের বিনিয়োগ ক্ষেত্র ও এই বিষয়ক পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করতে ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের মাধ্যমে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে ফেসবুকের ব্যবসার বিরাট সুযোগ রয়েছে।

টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশের বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে আগ্রহ প্রকাশ করে। তারা মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ কয়েকটি দেশে এক্সপ্রেস ওয়াইফাই, টেরাগ্রাফ, ওপেন ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক এবং জিরো রেটেট প্রোগ্রামের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশের টেলিকম খাতের সার্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল সংযোগ খাতকে বিনিয়োগের একটি থ্রাস্ট সেক্টর। আমাদের ডিজিটাল অবকাঠামো গত ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনার গতিশীল নেতৃত্বে এবং তথ্য ও যোগাযোগ উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশায় যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, কোভিডকালে দেশের মানুষের অচল জীবনযাত্রাকে ডিডিটাল সংযোগের অসামান্য অগ্রগতির কারণে সচল রেখেছে। ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে অফিস-আদালতের কার্যক্রম এবং শিক্ষাকার্যক্রম ঘরে বসে করা সম্ভব হচ্ছে। আমাদের শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো না থাকলে তা সম্ভব হতো না।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২১
এমআইএইচ/এজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।