জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুক নামের সামঞ্জস্যপূর্ণ আরেকটি নাম মিল্যাট ফেসবুক। যেটি অনেকের কাছে অপরিচিত মনে হলেও এরই মধ্যে ব্যাপক সফলতার সাড়া মিলেছে সাইটটির।
বর্তমানে সংশ্লিষ্টরা জোড়ালো কন্ঠে বিশ্বের সর্বোস্তরের শান্তিকামী মানুষের দৃষ্টি আকর্ষনে বার্তা দিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে, যদি ফেসবুকে আপনার ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত হানার বিষয়গুলো অপসারণ করতে ব্যর্থ হন তখন আপনি কি করবেন। এজন্য আপনি শুরু করতে পারেন প্যারালাল সার্ভিস যেটি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সার্ভিসের মতো।
মিলেট ফেসবুকের লক্ষ্য অন্তত্য পক্ষে বিশ্বের সর্বোস্তরের মুসলিমদের নিবন্ধনে উৎসাহি করা যাতে করে তারা পারস্পরিক কাছাকাছি আসতে পারে।
অমুসলিমদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে-অমুসলিম হতে পার তারপরেও এখানে সাইনআপ কর জান। এ সাইটের ট্যাগলাইনটি পড়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমএফবি ১.৬ বিলিয়ন মুসলিমের সাড়া পেয়েছে তাই নিজেকে তাদের সঙ্গে জড়ালে এবং শেয়ার করলে সেসব শান্তিকামী মানুষ তোমাকে সহয়তা দিবে বলে প্রত্যাশা দিয়েছেন। তাই আস্থা থাকলে এখানে আরো উৎসাহমূলক খবর আছে।
বিশ্বে মোট মুসলিম সংখ্যা প্রায় ১.৫৭ বিলিয়ন তাদের প্রত্যেকেরই একজন এমএফবি এর নিবন্ধিত যার অর্থ বোঝানো হয়েছে প্রায় ০.০৩ বিলিয়ন মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছে। এদিকে ফেসবুকে মোট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮০০ মিলিয়নের বেশী এবং অর্থমূল্য প্রায় ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সেদিক থেকে এমএফবির সংখ্যা দ্বিগুণ। কাজেই এর মূল্য ২০০ বিলিয়নের আশপাশ ভাবাটা অসম্ভব নয়।
অবশ্য, সাইন আপের পরপর হোম পেজে এর শান্তি-প্রীতি সংক্রান্ত কার্যক্রম প্রতীয়মান হয়না বলেও উল্লেখ করা আছে।
এছাড়া ফেসবুকে প্রতারণা থাকার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে এ সাইটের পরিচালনাকারীরা ইমেইলে সেবা সম্পর্কে অভিহিত করবে। যেখানে উল্লেখ থাকবে আমরা ফেসবুকের চেয়েও আরো বেশী ফিচার আনছি যার মধ্যে আছে কাবা শরীফের লাইভ ভিউ, ফ্রি টিভি, বুলেটিনস, ব্লগ, পোল, সাউট বক্স, পাবলিক চ্যাট রুম, আইএম চ্যাট, স্কুল, ফেন পেজ, গ্রুপস, গেমস, ফোরাম, ক্লাসিফাইড এছাড়া ৩ হাজার হালাল রেসিপি। আরো আছে ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু স্বইচ্ছা বিষয়ক বৈশিষ্ট্য যেমন পেজ কালার, হেডারস, ফন্ট স্টাইল, পেজ উইথ এবং পেজ ব্যাকগ্রাউন্ড যেগুলো ১০০ ভাগ নিশ্চিতে ব্যবহারকারীদের প্রোফাইল সাজাতে সমর্থন করবে। এছাড়া ব্যবহারকারীরা পেজ সিএসএস মাধ্যমে নিজের পছন্দমত ডিজাইন করার সুযোগ পাবে। তাই মিলেটফেসবুক.কম কে ফেসবুক বলে অভিহিত করা যাবেনা।
সংশ্লিষ্ট সুত্র আরো জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ এর কার্যক্রমের অগ্রগতিতে খুব একটা সাহায্য করেনি।
এদিকে সফলতা থাকা সত্বেও সাইটটির সিইও উমর মির স্বীকার করেছেন কিছু ইউএস কর্মকর্তা তাদের চাপ প্রয়োগ করছে কার্যক্রম বন্ধের জন্য। তাদের ইউএস এবং ইউরোপ বেজড হোস্টিং প্রোভাইডারদেরকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য ইউএস কেবল একা নয় পাকিস্তানও এ সেবাকে এড়িয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে খবর পাওয়া যায় দেশের জাতীয় আইএসপি এবং পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি এই ওয়েবসাইট হোস্ট করতে নাকোচ করেছেন। এই প্রত্যাখানের কারণ জানাতেও অস্বীকার করেছেন তারা।