বিশ্বনারী দিবসে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম এবং বিডব্লিউআইটি যৌথউদ্যোগে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এ বৈঠকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং বাধা দূরীকরণে মতবিনিময় করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিডব্লিউআইটি এবং দোহাটেক নিউ মিডিয়ার সভাপতি লুনা শামছুদ্দোহা, বিআইজেএফ সভাপতি মোহাম্মদ কাওছার উদ্দীন, ইউনিক বিজনেজ সিস্টেমের ডাইরেক্টর অপারেশন হাবিবা নাসরিন রিতা, প্রাক্তণ চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিএসই বিভাগের সাবেক সভাপতি ড. সুরাইয়া পারভীন, ইন্টারনেট সোসাইটি বাংলাদেশ ঢাকা চ্যাপ্টারের সভাপতি ড. সৈয়দ ফয়সাল হাসান এবং টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের সম্পাদক এবং বিআইজেএফ সহসভাপতি নাজনীন নাহার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিএসই বিভাগের ড. সুরাইয়া পারভীন বলেন, নারীদের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে পারিবারিক সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। সঙ্গে প্রয়োজন সামাজিক পারিবারিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।
এ মুহূর্তে দেশের মোট জনসংখ্যার ৫০ ভাগ নারী। এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে আলোচনায় মন্তব্য করেন লুনা শামছুদ্দোহা। তথ্যপ্রযুক্তি হতে পারে নারীর অবস্থা পরিবর্তনের হাতিয়ার।
টেকওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের সম্পাদক নাজনীন নাহার বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানের ব্যবহার ও চর্চায় একজন নারী ঘরে বসেই পরিবার সামলে অর্থনৈতিক উন্নয়নে অংশগ্রহণ করতে পারে।
তথ্যপ্রযুক্তিতে নারী অংশগ্রহণ এবং সফলতা উৎসাহিত করতে পারে সবাইকে। এ দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন সবার অংশগ্রহণে নারীরা আরও এগিয়ে যাবে বলে জানান বিআইজেএফ সভাপতি মোহাম্মাদ কাওছার উদ্দীন। এ অনুষ্ঠানে বক্তাদের আলোচনায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের সুযোগের সঙ্গে সদ্ব্যব্যবহারে নারীরা কিভাবে আরও এগিয়ে যেতে পারে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আলোকপাত করা হয়।
এবারে নারী দিবসের প্রতিপাদ্য ‘কানেক্টিং গার্লস টু ইনস্পায়ারিং ফিউচার’ এ বিষয়ে একাত্ব ঘোষণা করে এ অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আনা ফারিহাকে সিএসই অর্নাসে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অর্জনে বিআইজেএফ এবং বিডব্লিউআইটিতে সম্মাননা পদক দেওয়া হয়। আনা ফারিহা জানান, ভবিষ্যতে আরও ভালো করতে এ ধরনের সম্মাননা বিশেষ উৎসাহ যোগাবে।
বাংলাদেশ সময় ২১৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১২