সম্প্রতি ইউক্রেনের বিভিন্ন জ্বালানি অবকাঠামোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বাড়িয়েছে রাশিয়া। হামলাগুলো প্রতিহত করতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনীয় সেনারা।
তিনি বলেছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনী একটি ‘কঠিন’ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দখল হওয়া শহরগুলো একের পর এক পুনরুদ্ধার করছে।
ন্যাটোর কাছে আরও সহায়তা চেয়ে তিনি বলেন, রুশ হামলায় ইউক্রেনের অনেক বিদ্যুৎ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলো পুনরায় চালু করতে ন্যাটোর আরও সহায়তা দরকার।
এর আগে মঙ্গলবার বুখারেস্টে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য সামরিক ও সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। বৈঠকে জ্বালানি, চিকিৎসাসেবা, ওষুধ সরবরাহ, শীতকালীন সরঞ্জাম এবং ড্রোন জ্যামারের মতো যন্ত্রপাতি সহায়তা নিয়েও আলোচনার হয়।
এদিকে বুধবার (৩০ নভেম্বর) ইউক্রেনের জেনারেল স্টাফ বলেছেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় তার বাহিনী পূর্ব ডনবাস অঞ্চলে ছয়টি রুশ আক্রমণ প্রতিহত করেছে। ’ তবে,পূর্ব দোনেতস্ক অঞ্চলে রাশিয়ান বাহিনী কামান, মর্টার ও ট্যাঙ্ক ফায়ার দিয়ে ইউক্রেনের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করে।
এর আগে গতকাল রাতে জেলেনস্কি এক পৃথক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘রাশিয়ান সামরিক বাহিনী লুহানস্ক এবং উত্তর-পূর্বে খারকিভেও আক্রমণ করছে, যেটি সেপ্টেম্বরে ইউক্রেন পুনরুদ্ধার করেছিল। ’
তিনি বলেন, ‘সামনের অবস্থা কঠিন। দখলকারীরা এখনও অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ইউক্রেনের দক্ষিণ অংশ নিয়ে কিছু পরিকল্পনা করছে। ’
গতকালের বৈঠকে ইউক্রেনের জন্য ন্যাটো তার সমর্থন প্রত্যাহার করবে না বলে জানিয়েছেন জোটের প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘আমরা কিছুতেই পিছু হটবো না’।
ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘যতদিন দরকার হবে ন্যাটো ইউক্রেনের পাশে থাকবে, আমরা কিছুতেই পিছু হটবো না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮, নভেম্বর ৩০, ২০২২
এমএইচএস