দুর্নীতির দায়ে আর্জেন্টিনার বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারকে ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির আদালত। তবে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ায় ক্রিস্টিনাকে জেল খাটতে হবে না।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে (বাংলাদেশ সময়) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফার্নান্দেজ (৬৯) ‘প্রশাসনের সঙ্গে প্রতারণা’ করে তার বন্ধুকে সরকারি কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। অবশেষে আদালত তার বিরুদ্ধে এই রায় দেন। যদিও রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন ফার্নান্দেজ।
ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি ফার্নান্দেজকে সরকারি দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আজীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আর্জেন্টাইন আদালত। তবে আপিল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে থাকবেন।
রায় ঘোষণার আগে প্রসিকিউটররা ফার্নান্দেজের ১২ বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। পরে আদালত ছয় বছরের কারাদণ্ড দেন।
ফার্নান্দেজ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রায়ের পর বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি নিজেকে ‘বিচারিক মাফিয়ার শিকার’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
রায়ের আগে, তিনি প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং অপবাদ দেওয়ার অভিযোগও করেছিলেন।
উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনায় এই প্রথম কোনো ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্বে থাকাকালীন দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২২
এমএইচএস