রাশিয়া ও ইরানের সম্পর্ক উষ্ণ হতে হতে পূরোদমে প্রতিরক্ষা অংশীদারিতে পৌঁছেছে। এমনটি বলছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, রাশিয়া নজিরবিহীন মাত্রায় সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেদনে দেখেছে, দুই দেশ যৌথভাবে মারণ ড্রোন উৎপাদনের কথা ভাবছে।
এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া ঘোষণা দিয়েছে যে, তারা তিন ইরানি নাগরিক ও এক ইরানি ব্যবসায়ীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধে ড্রোন সরবরাহের দায়ে তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হচ্ছে।
রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সহযোগিতার বিষয়টি নতুন করে সামনে এসেছে। ইউক্রেন অভিযোগ করছে, রাশিয়া তাদের ওপর হামলায় ইরানি ড্রোন ব্যবহার করছে।
প্রাথমিকভাবে ইরান রাশিয়ায় ড্রোন সরবরাহের অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে পরে স্বীকার করে নেয় ইউক্রেনে হামলার আগে রাশিয়াকে কিছু ড্রোন সরবরাহ করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ড্রোন উৎপাদনে রাশিয়া ও ইরানের অংশীদারিত্ব ইউক্রেন, ইরানের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য ক্ষতিকর হবে।
তিনি বলেন, অস্ত্র মোতায়েন ও প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে রাশিয়া ইরানের সঙ্গে কাজ করতে চাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভয়, রাশিয়া ইরানকে উড়োজাহাজ ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাসহ অত্যাধুনিক সামরিক সহযোগিতা দিতে চাইছে।
জন কিরবি বলেন, ইরান রাশিয়ার শীর্ষ সামরিক সহযোগী হয়ে উঠেছে। রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলার জন্য ইরানের ড্রোন ব্যবহার করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২২
আরএইচ