ইউক্রেনের জনগণকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। স্থানীয় সময় শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় তিনি জনগণকে রাশিয়ার আক্রমণের মুখে ধৈর্য ধরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত দশ মাসের অভিজ্ঞতা নিয়ে বড়দিনের বার্তায় জেলেনস্কি বলেছেন, ‘যুদ্ধের শুরু থেকে আমরা কত কী না সহ্য করে এসেছি। রাশিয়ার আক্রমণ, হুমকি, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুঁশিয়ারি, ক্ষেপণাস্ত্র হামলা… আরও কত কী!’
তিনি বলেন, ‘আমি জানি, ঠিক তেমনই আমরা এই শীতটাও কাটিয়ে দেব। কারণ আমরা জানি, আমরা লড়াইটা কীসের জন্য লড়ছি। ’
অক্টোবর থেকে রাশিয়ার ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থাপনার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বড় শহরগুলোতে মানুষ আলো (রাতে), পানি ও তাপ ছাড়াই দিন কাটাচ্ছে।
এসব তথ্য তুলে ধরে ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সম্পূর্ণ অন্ধকারেও, আমরা একে অপরকে শক্তভাবে আলিঙ্গন করার জন্য খুঁজে পাব। যদি তাপ না থাকে, তবে আমরা উষ্ণতার জন্য একে অপরকে দীর্ঘ সময়ের জন্য আলিঙ্গন করব’
‘আমরা সবসময়ের মতো হাসব ও খুশি হব। একটি পার্থক্য আছে- আমরা কোনো অলৌকিক ঘটনার জন্য অপেক্ষা করব না, যেহেতু এ যুদ্ধ আমরা নিজেরাই লড়ছি। ’
ভিডিও বার্তার কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলেনস্কি খেরসনে হামলার ছবি প্রকাশ করেছিলেন। ছবিতে রাস্তায় জ্বলন্ত গাড়ি, ভাঙা জানালা ও মৃতদেহ দেখা যায়।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হয়ত ছবিগুলোকে ‘সংবেদনশীল’ হিসেবে চিহ্নিত করবে। তবে এটি সংবেদনশীল বিষয়বস্তু নয়। এটি ইউক্রেন ও ইউক্রেনীয়দের বাস্তব জীবন।
‘এগুলো কোনো সামরিক স্থাপনা নয়... এটি সন্ত্রাস, এটি ভয় দেখানো। রাশিয়া শুধুমাত্র আনন্দ পাওয়ার জন্য ইউক্রেনীয়দের হত্যা করছে। ’
এর আগে, আঞ্চলিক গভর্নর ইয়ারোস্লাভ ইয়ানুশেভিচ একটি টেলিগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন যে খেরসনের হামলায় ১০ জন মারা গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৫৫ জন। এদের মধ্যে ১৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
এমএইচএস