১৮০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে সাগরে ভাসতে থাকা নৌকাটি ডুবে গেছে এবং এতে থাকা সবাই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছে।
একটি অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে গত শুক্রবারের (২৩ ডিসেম্বর) টুইটের আপডেট জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
তারা লিখেছে, গতকাল (শুক্রবার) আমাদের বিবৃতির পর থেকে ১৮০ জন রোহিঙ্গা সমুদ্রে নিখোঁজ রয়েছেন। আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। যারা শেষবার যোগাযোগ করেছেন তারা সবাই মারা গেছেন। তাদের বাঁচার আশা আমরা প্রায় ছেড়ে দিয়েছি।
রয়টার্স বলছে, এমনটি ঘটলে ২০২২ সাল রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছরগুলির মধ্যে একটি হবে।
ইউএনএইচসিআরের মুখপাত্র বাবর বালোচ বলেছেন, আমরা নিরাশার বিপরীতে আশা করছি যে, নিখোঁজ ১৮০ জন এখনও বেঁচে আছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রোহিঙ্গাদের নিয়ে আন্দামান সাগরে ভাসছিল নৌকাটি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি জাতিসংঘ তাদের উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছিল।
ইউএনএইচসিআর সপ্তাহান্তে বলেছে, গত নভেম্বরের শেষের দিকে বাংলাদেশ থেকে একটি নৌকায় চেপে ১৮০ জন রোহিঙ্গা সমুদ্রে যাত্রা শুরু করে। নৌকাটি সমুদ্র উপযোগী ছিল না। যাত্রীরা যোগাযোগ হারানোর আগে ডিসেম্বরের শুরুতে নৌকা ফাটতে শুরু করে। এরপর তারা সমুদ্রে পথ হারিয়ে ফেলে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আশ্রয়শিবিরে থাকা অনেক রোহিঙ্গা উন্নত জীবনের আশায় ইন্দোনেশিয়া-মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমানোর চেষ্টা করছেন। এ জন্য তারা নৌকায় করে সাগর পাড়ি দেওয়ার বিপৎসংকুল পথ বেছে নেন।
গত রোববার ভোরের দিকেও বাংলাদেশ থেকে নৌকায় পাড়ি জমিয়ে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ বেসার ইন্দ্রাপাত্রা সৈকতে ৫৮ জনের একটি রোহিঙ্গা দল পৌঁছুতে সক্ষম হয়।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
Tragic update: Since our statement yesterday, UNHCR has received unconfirmed reports of a separate boat - with 180 Rohingya, missing in the sea. Relatives have lost contact. Those last in touch presume all are dead. We hope against hope this is not the case (1/3)
— UNHCR Asia Pacific (@UNHCRAsia) December 24, 2022