ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেন ন্যাটোর ডি ফ্যাক্টো সদস্য: রেজনিকভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
ইউক্রেন ন্যাটোর ডি ফ্যাক্টো সদস্য: রেজনিকভ

ঢাকা: রাশিয়াকে সামরিক শক্তি বাড়াতে দেখে উদ্বিগ্ন পশ্চিমা দেশগুলো। উদ্ভুত পরিস্থিতি তাদের ভাবনার জগতে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করছে।

এ অবস্থায় ইউক্রেন ন্যাটো সামরিক জোটের একটা ডি ফ্যাক্টো সদস্য হয়ে উঠেছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ।  

সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করেন তিনি।

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে প্রকাশিত বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বলেন, তিনি নিশ্চিত যে ইউক্রেন ট্যাঙ্ক এবং ফাইটার জেটসহ বহুদিনের কাঙ্ক্ষিত অস্ত্র পাবে। কারণ ইউক্রেন ও রাশিয়া- উভয়েই আসন্ন বসন্তে নতুন করে আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।

রেজনিকভ বলেন, পরবর্তী স্তরের তীব্রতা বেড়ে যাওয়া নিয়ে এই উদ্বেগ, আমার জন্য এক ধরণের প্রোটোকল।  

তিনি বলেন, একটা দেশ হিসেবে ইউক্রেন এবং ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ন্যাটোর সদস্য হয়েছে। ডি ফ্যাক্টো সদস্য, আইনত না। কারণ আমাদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে এবং এটি কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তাও আমরা জানি। ’

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে তার আগ্রাসনকে পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে একটি অস্তিত্বের যুদ্ধ হিসেবে তুলে ধরেছেন, যারা কিনা রাশিয়াকে দুর্বল করতে চায়। রুশ প্রধান যুক্তি দিয়েছেন যে, তারা ইউক্রেনে ন্যাটোর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এক্ষেত্রে পশ্চিমারা দেশটিকে অস্ত্র সরবরাহ করেছে, কারণ তারা একে আগ্রাসন বলছে।

ইউক্রেন কয়েক বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং ২৮টি ইউরোপীয় দেশের সঙ্গে সামরিক জোটটিতে যোগদানের চেষ্টা করেছে, যাকে প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়ার জন্য চরম নিরাপত্তা হুমকি হিসেবে অভিহিত করেছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্রুত এই জোটে অন্তর্ভুক্তির জন্য দেশগুলোকে চাপাচাপি করে চলেছেন। তবে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও, এই যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরেও জোটের সদস্যরা পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবে কি-না, তা স্পষ্ট নয় বলে দাবি করা হয় প্রতিবেদনে।

ন্যাটো চুক্তির ৫নং ধারায় বলা হয়েছে, যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে সশস্ত্র আক্রমণকে সবার বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হবে।  

তবে, নিজের এই মন্তব্যকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে- এমনটা অস্বীকার করেছেন রেজনিকভ। তিনি বলেন, কেবল রাশিয়াই না। সম্ভবত, ন্যাটো নিজেই বিতর্কে জড়াবে। কারণ জোটটি নিজেকে সংঘাতের পক্ষ হিসেবে না দেখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

সেই সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে ইউক্রেন ন্যাটোর পূর্ণ সদস্য হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২৩
এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।