চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মস্কো সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সফরে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তিনি এক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিতে বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে শি জিনপিং কবে এই সফরে যাবেন তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
এই পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত ঊর্ধ্বতন এক চীনা কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, সফরে তারা দুই দেশের শান্তি বজায় রাখতে করণীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এছাড়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার থেকে দূরে থাকার বিষয়গুলো নিয়েও এই সফরে আলোচনা হবে।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে বলা হয়েছে, সফরের প্রস্তুতি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। সময় এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে শি’র এই সফর এপ্রিল বা মে মাসের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হতে পারে, যখন কিনা রাশিয়া নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জয় উদযাপন করবে।
চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ইয়ি বর্তমানে মস্কোতে রয়েছেন। বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে নিজ সেনাদের হামলা করার নির্দেশ দেওয়ার আগে বেইজিংয়ে যান রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিনয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পর তারা ঘোষণা দেন চীন-রাশিয়ার মধ্যে হবে ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্ব। যা চিন্তায় ফেলে পশ্চিমাদের। পরে সেই চিন্তা আরও গভীর হয়।
কারণ, ইউক্রেনে রাশিয়া সামরিক অভিযান চালানো শুরুর পর বিভিন্ন দেশ নিন্দা জানালেও বেইজিং জানায়নি। এমনকি মস্কো যখন পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় ডুবছিল তখনও রুশবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি চীন। এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও বারবার মস্কোর পাশে দাঁড়িয়েছে দেশটি।
এদিকে ‘চীন রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে চিন্তা করছে’- সম্প্রতি এমন সন্দেহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, বেইজিংকে এ বিষয়ে সতর্কও করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ।
যদিও চীন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। উল্টো যুক্তরাষ্ট্রই ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করে সংকট আরো তীব্র করে তুলছে বলে বেইজিং পাল্টা অভিযোগ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এমএইচএস