এখনই পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ মাত্রাতিরিক্ত ওজনের সমস্যায় ভুগবে বলে সতর্ক বার্তা দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশন। খবর বিবিসির
ওয়ার্ল্ড ওবেসিটির প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যগুলো সোমবার (৬ মার্চ) জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হবে।
প্রতিবেদন অনুসারে, স্বাস্থ্যগত এ জটিলতায় ৪শ’কোটির বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিশুদের মধ্যে স্থূলতার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি হবে। আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০৩৫ সাল মধ্যে স্থূলতা সমস্যায় বার্ষিক খরচ দাঁড়াবে চার ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি।
প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে এখনই পদক্ষেপ নিতে সতর্ক করে দিয়েছেন ওয়ার্ল্ড ওবেসিটি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক লুইস বাউর।
এ প্রতিবেদন শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে স্থূলতার ক্রমবর্ধমান হারকে বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এ হার ছেলেমেয়ে উভয়ের মধ্যে ২০২০ সালের তুলনায় দ্বিগুণ হবে।
নিম্ন আয়ের দেশে স্থূলতার প্রভাবও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী স্থূলতা সর্বাধিক বাড়তে পারে এমন ১০টি দেশের মধ্যে নয়টি আফ্রিকা ও এশিয়ার নিম্ন বা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ।
কারণ হিসেবে রয়েছে প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, এক টানা বসে কাজ করা, খাদ্য সরবরাহ ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের দুর্বল নীতি এবং ওজন ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্য শিক্ষাজনিত পরিষেবায় কম সহায়তা। স্থূলতার সংখ্যা বাড়ার ফলে অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে, যা বৈশ্বিক জিডিপি তিন শতাংশের মতো।
বাংলাদেশ সময়: ১১০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৩
এএটি